সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আবারও অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে ব্রাজিল। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্রীড়াযজ্ঞের ছেলেদের ফুটবল ইভেন্টের সোনার লড়াইয়ে লাতিন আমেরিকার দেশটি। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিল ব্রাজিল। শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে টোকিও অলিম্পিকের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা টাইব্রেকারে মেক্সিকোকে হারিয়ে।
আজ (মঙ্গলবার) সেমিফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র ছিল। ফল নিষ্পত্তির জন্য গড়ানোর টাইব্রেকারে মেক্সিকোকে ৪-১ গোলে হারিয়ে সোনার মঞ্চে উঠেছে ব্রাজিল।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ব্রাজিলকে গোল করতে দেয়নি মেক্সিকো। অতিরিক্ত সময়েও কেউ লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। কিন্তু টাইব্রেকারে এসে গত অলিম্পিকের সোনাজয়ীদের আর আটকানো যায়নি। অলিম্পিক ফুটবলের ইতিহাসে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। টোকিওতে প্রথম সেমিফাইনালে সেলেসাওরা টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
ব্রাজিলের হয়ে অধিনায়ক দানি আলভেস, মার্তিনেলি, গুইমারেস ও রেইনিয়ের লক্ষ্যভেদ করেছেন। বিপরীতে মেক্সিকোর আগুয়েইরোর শট গোলকিপার সান্তোস ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। ভাসকেজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আর রোদ্রিগেস লক্ষ্যভেদ করলেও তাতে ম্যাচের ফলে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১২ সালের পর আবারও ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকলেও মেক্সিকো তা কাজে লাগাতে পারেনি। বরং আন্দ্রে জারদাইনের দল ভাগ্য পরীক্ষায় জিতে আবারও সোনা জয়ের দ্বারপ্রান্তে।
কাসিমা সকার স্টেডিয়ামে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু কোনও সময় প্রতিপক্ষের গোলকিপার ওচোয়ার দৃঢ়তায়, আবার নিজেদের ব্যর্থতায় গোল পাওয়া হয়নি। যদিও ম্যাচের প্রথম আক্রমণটি মেক্সিকো করেছে। ৯ মিনিটে হেনরি মার্টিনের হেড বক্সের বাইরে দিয়ে যায়। এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ব্রাজিল।
১৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া গিলহার্মের এরানার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬ মিনিট পর আলভেসের পাসে বক্সের বাইরে থেকে আন্তোনির শট গোলকিপার ফিরিয়ে দেন।
২৩ মিনিটে আলেভেসের ফ্রি কিকও গোলকিপার রুখে দেন। ২৬ ব্রুনো গুইমারেসের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিরতিতে যাওয়ার আগে মেক্সিকো আবারও আক্রমণে ফেরে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি।
বিরতি থেকে ঘুরে এসে পাল্টা-পাল্টি আক্রমণ করে খেলা চললেও গোল আসেনি। তবে ৮২ মিনিটে ব্রাজিলের দুর্ভাগ্য। রিচার্লিসনের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসলে গোল পাওয়া হয়নি। যদিও টাইব্রেকার ভাগ্য ব্রাজিলের পক্ষেই ছিল। তাই তো টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠে দ্বিতীয়বার সোনার স্বপ্ন দেখছে ব্রাজিল।