সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
কোনও টাকা বকেয়া নেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির। বিতর্কে জল ঢেলে এমনটাই জানালেন ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সঞ্জয় সহায়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি পরিস্কার জানিয়ে দিলেন, নিজের বকেয়া ১৮০০ টাকা অনেকদিন আগেই মিটিয়ে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর তাই বিষয়টির মীমাংসা অনেকদিন আগেই হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার গত আর্থিক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসেব পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে ধোনির নামে বকেয়া রয়েছে ১৮০০ টাকা। আর এরপরই গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। আসলে, গতবছরই ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার পক্ষ থেকে ধোনিকে সারা জীবনের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়েছিল লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। এই কারণে সাম্মানিক হিসেবে ১০ হাজার টাকাও পেয়েছিলেন। কিন্তু ধোনি ক্রিকেটারদের সাহায্যার্থে এক তহবিলে ওই টাকাটি দান করার কথা জানান। তবে যেহেতু চেকটি ধোনির নামে, তাই সমস্যা দেখা দেয়। এরপর ধোনির সঙ্গে কথা বলে ঠিক হয়, ওই টাকার চেকটি তার রাঁচির হরমু রোডের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হবে।
কিন্ত জিএসটি বাবদ সেই অনুদানের পরিমান হয়ে যায় ১১,৮০০ টাকা। অর্থাৎ কিনা বাড়তি ১৮০০ টাকা যোগ হয়। ধোনি ১০,০০০ হাজার টাকার চেক দিলেও বাকি টাকা বকেয়া হিসেবে রয়ে যায়। সেই কারণেই বার্ষিক সাধারণ সভায় এম এস ধোনির নামের পাশে ‘ডিউ ১৮০০’ টাকা লেখা রয়েছে। তার পরেই রাঁচির ক্রিকেটমহলে হুলস্থুল। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সংগঠক শেষনাথ পাঠকের হাত ধরে উঠে এসেছে এই বিষয়টি। ধোনির ঋণ শোধ করার জন্য শেষনাথ তার ছাত্র ও ধোনির ফ্যানদের কাছ থেকে ১৮০০ টাকা সংগ্রহ করা শুরু করেন। পরে একটি চেক বানিয়ে সেটি ঝাড়খণ্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে জমা দিলেও, তা গৃহীত হয়নি। কারণ তাতে জানানো হয়, ওই চেকে ধোনির সই থাকতে হবে। আর এরপরই তৈরি হয় নয়া বিতর্ক। খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা