কৃষি, শুল্ক, প্রতিরক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা, শিল্পায়ন, মেধাস্বত্ব, মেট্রোরেলসহ কয়েকটি বিষয়ে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর ফলে জাপান-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন হবে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন হবে।
বাংলাদেশ ও জাপানের বাণিজ্য সম্পর্কের অগ্রগতির ফলে জাপানি উদ্যোক্তারা উদ্ভাবন, তথ্যপ্রযুক্তি বিনিময়, পণ্য বহুমুখীকরণ প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন। জাপানের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত, জাহাজ নির্মাণ, ইলেকট্রনিক্স, পাট, জ্বালানি, অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প খাতে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে জাপানের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারেন।
বাংলাদেশ ও জাপানের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আগামীতে দু’দেশের মধ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষরকে ত্বরান্বিত করবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এটি জাপানের বাজারে শুল্ক সুবিধা হারানোর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল একটি মাইলফলক উদ্যোগ বলা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে জাপান। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য জাপান ১১তম বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং সপ্তম বৃহত্তম আমদানির উৎস। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৭৯ কোটি ডলার। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে ১২তম অবস্থানে রয়েছে জাপান। এরই মধ্যে জাপানের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৬ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করেছেন।
যে কয়েকটি দেশ ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান তাদের মধ্যে একটি। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক জাপান সফরের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন হয়।
এ মুহূর্তের সংবাদ