মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, আমরা সহ্যের সীমার মধ্যে থেকেই রাজপথ দখল করে আছি। তার মানে এই নয় রাজপথে বিরোধী দল আসুক। যদি তারা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে একসাথে মুখোমুখি হবো। আমরা গণতন্ত্র রক্ষায় কারো সাথে সংঘাতে যেতে চাই না। তবে এটাও ঠিক জালাও পোড়াও করে বিএনপি-জামাত আবার রাজপথে সাধারণ মানুষের জানমাল বিনষ্ট করবে তা আমরা হতে দিতে পারি না। জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণকে সাথে নিয়েই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতকে রাজপথে প্রতিহত করবো। আমাদেরকে শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, সংগঠনের অস্তিত্ব বজায় রাখতে নিজেদের সকল সামর্থ শক্তি উজার করে দিতে হবে। আমি কার ছেলে বা আমার পৈতৃক পরিচয় কি তা কখনো নেতৃত্বের মাপকাঠি হতে পারে না। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নানান ঝড়-ঝাপটা অতিক্রম করে রাজনৈতিক মঞ্চে সক্রিয়। কোন প্রতিকূলতায় মাথা নত করেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আগ্রাবাদস্থ ডাল্লার মাঠ হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতি পাড়া মহল্লায় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠার জন্য নানা ফন্দি ফিকির করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরের আওতাধীন সবগুলো আসন উপহার দিতে হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, এক সময় বঙ্গীয় ব-দ্বীপ সম্পদে ভরপুর ছিলো। এই সম্পদ লুন্ঠন করতে ভিনদেশীরা বারবার আগ্রাসন চালিয়েছে। সমকালীন সময়ে রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা একমাত্র আওয়ামী লীগ। তিনি আরো বলেন, একুশ বছর ধরে ৭১ এর পরাজিত শক্তি সাময়িক ইতিহাস বিক্রিত করলেও নতুন প্রজন্ম আজ সত্যিকার ইতিহাস জানতে পারছে। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ। আমাদের মূল অস্তিত্ব হলো আওয়ামী লীগ এবং আমাদের অস্তিত্ব ঠিক থাকলে দল দেশ ও জাতির কল্যাণ ও মঙ্গল হবে। তাই সাংগঠনিক শৃংঙ্খলা ও ঐক্যের কোন বিকল্প নাই।
২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩৬ ও ৪৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন শোভা যাত্রায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, নির্বাহী সদস্য হাজী দোস্ত মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, কামরুল হাসান বুলু, হাজী রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, মো. জাবেদ, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের সুলতান আহমদ, হাজী মো. ইলিয়াছ, আবু তাহের, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী আলী বক্স, সৈয়দ মোঃ জাকারিয়া, আব্দল্লাহ আল ইব্রাহিম, আব্দুল আজিজ মোল্লা, আবুল কাসেম, ইদ্রিস কাজেমী, মো. ইসকান্দর মিয়া, জাফরুল হাদয়ার সবুজ, গোলাম মো. জোবায়ের, সাইফুল আলম চৌধুরী, দিলদার খান দিলু, এরশাদ উল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, মো. মহসিন, নুর নবী লিটন, নাজিম উদ্দীন, কাউন্সিলর আব্দুল সবুর লিটন, নাজমুল হক ডিউক, মো. ইলিয়াছ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি