আতঙ্কে ভর্তিচ্ছুরা
চবি প্রতিনিধি »
স্থানীয় এক সিএনজি চালক কর্তৃক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক প্রায় আধা ঘণ্টা তালা দিয়ে রাখে ছাত্রলীগের একাংশ। এতে ডি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ক্যাম্পাসে আগত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনার জের ধরে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের কর্মীরা মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সিক্সটি নাইন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর গ্রুপ এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
জানা যায়, গত শুক্রবার সুমিত তার দুইজন পরীক্ষার্থীকে নিয়ে ভাটিয়ারীতে যাওয়ার জন্য জিরো পয়েন্টে আসেন। সেখানে এক সিএনজি চালককে ভাড়া জিজ্ঞাসা করলে ১৫০০ টাকা চায়। সুমিত এত বেশি টাকা দাবি করার কারণ জিজ্ঞাসা করে। এসময় সিএনজি চালক তাকে গালাগাল করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। যার কারণে সন্ধ্যায় রেল ক্রসিং এলাকায় স্থানীয় সিএনজিচালকরা সুমিতকে মারধর করে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে নাইম আরাফাত নামের আরেকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হঠাৎ এ উত্তেজনাকর অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। মেয়েকে নিয়ে সিলেট থেকে আসা রমজান আহমেদ জানান, রিকশা নিয়ে শেখ হাসিনা হলের দিকে যাবো। হঠাৎ দেখি অনেকগুলো ছেলে এসে গেইট আটকে দিচ্ছে, দৌড়াদৌড়ি করছে। চবি সম্পর্কে প্রায়ই টিভিতে এগুলো দেখি। আজকে সামনাসামনি দেখলাম। এতে অভিভাবকরা তার সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অন্তত ভর্তি পরীক্ষার সময়ে যেকোনো ঝামেলা যেন না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের সচেতন থাকা উচিত ছিলো।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণত সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘সিএনজি চালক অযথা একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে। পরে তারা মূল ফটক আটকিয়ে দেয়। আগামীকালের (আজ) ভর্তি পরীক্ষার কথা চিন্তা করে ছাত্রলীগ মূল ফটক খুলে দেয়। তবে অপরাধীদের আইনের আওতায় না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টি সমাধান হয়েছে। ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে ভর্তিচ্ছুদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে।’