নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে আন্দোলনে থাকা চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা প্রায় ৬ মাস পর ক্লাসে ফিরেছেন। এর আগে চট্টগ্রাম চারুকলা ইনস্টিটিউট খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরমধ্যে ইনস্টিটিউটটির সংস্কার কাজও প্রায় শেষ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৭ এপ্রিল সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে ২ মে ঈদুল ফিতরের বন্ধের পর চারুকলা ইনস্টিটিউট খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১৭ এপ্রিল প্রকাশ করে।
ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, ভাস্কর্য ভবনের কক্ষে পরিত্যক্ত মালামাল সরিয়ে সেখানে খোলা হয়েছে ক্যান্টিন, ইনস্টিটিউট জুড়ে করা হয়েছে রং, ছাত্র হোস্টেলের বারান্দা করা হয়েছে পাকা। একাডেমিক ভবনের ৪র্থ তলায় নির্মাণ করা হয়েছে ২টি নতুন শৌচাগার, এছাড়া পরিত্যক্ত শৌচাগারগুলোও করা হয়েছে সংস্কার।
ইনস্টিটিউট খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, ‘যেটুকু সংস্কার হয়েছে, এটি সন্তোষজনক। আর যে ছাত্রী হোস্টেল সেটা তো রাতারাতি সম্ভব না। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা শিক্ষক ক্লাব রয়েছে , ছাত্রী হোস্টেল তৈরির জন্য সময়ের দরকার আছে। ধরুন ফার্নিচার আছে, এটার নিরাপত্তার বিষয় আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে এডমিশন টেস্ট, এরপর থেকেই বিভিন্ন বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো শুরুর প্ল্যান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আটকে থাকা রেজাল্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মিটিং এর মাধ্যমে যাতে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়া যায় সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
পুরোদমে ক্লাসে ফেরার ব্যাপারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জহির রায়হান অভি বলেন, ‘৬ মাস পর সেশনজটসহ, একাডেমিক নানা ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে সকলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া। বিশেষ করে প্রথম বর্ষের ফ্রেশাররা যারা এখনও একটা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসও করতে পারেনি, তাদের কথা বিবেচনা করে ২ মে থেকে সকলে ক্লাস বর্জন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর ক্লাসের পলেস্তরা খসে পড়াকে কেন্দ্র করে ইনস্টিটিউট সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। ২২ দফার এ আন্দোলন পরর্বতীতে সেটি ‘চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর চাই’ নামে ১ দফা দাবিতে রূপ নেয়। আন্দোলনের ৮২দিন পর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ৭ দিনে আশ্বাস বাস্তবায়নের শর্ত দিয়ে গাছতলায় ক্লাস শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আশ্বাস বাস্তবায়ন না হলে ২য় দফায় আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংস্কার কাজে ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করে।