সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
ভারতের ১০টি ভেন্যুতে চলমান বিশ্বকাপের ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ধর্মশালায় হবে পাঁচটি ম্যাচ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ হিমাচলের মাঠটিতে হয়েছে গত শনিবার। আগামী ১০ অক্টোবর একই ভেন্যুতে টাইগাররা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়বে। তবে ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে তুমুল সমালোচনায় মেতেছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। যেখানে ইনজুরিতে পড়ার বেশ শঙ্কার কথাও বলেছেন তারা। স্বভাবতই এমন দুশ্চিন্তা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়েও থাকবে! আফগানদের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচের সময় দেখা যায়, বোলারের রান-আপ কিংবা ফিল্ডাররা ডাইভ দিলেই ধুলো ও মাঠের অনেকাংশ মাটি উঠে যাচ্ছে। কোথাও ঘাসের পরিমাণ বেশি, কোথাও এতই কম যে দূর থেকেও মাটির দেখা মেলে স্পষ্ট। এ নিয়ে ম্যাচ চলাকালেই ধারাভাষ্যকাররা সমালোচনা করেন। মজার ছলে তখন স্কুলের মাঠের সঙ্গে ধর্মশালার আউটফিল্ডের তুলনা করেন ম্যাথু হেইডেন ও নাসের হুসেনরা। এদিন বড় ধরনের চোট পেতে পারতেন আফগানিস্তানের মুজিব-উর-রহমান ও নাভিন-উল হকরা। সাকিব আল হাসানের একটি সুইপ শট বাউন্ডারিতে বাঁচাতে গিয়েছিলেন মুজিব। তখনই তার হাঁটুর ঘষা খেয়ে মাঠের মাটি অনেকাংশ সরে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়। এরপর একটি বাউন্ডারি বাঁচাতে আজমতউল্লাহ ওমরজাইও প্রায় একই পরিস্থিতিতে পড়েন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও ফিল্ডিং করতে গিয়ে সমস্যা হয়েছে। শনিবার ম্যাচ শেষে এ নিয়ে খোলাখুলি বলেছেন আফগান কোচ জোনাথন ট্রট, ‘আপনি যদি ডাইভ দেওয়ার ব্যাপারেই অনিশ্চিত থাকেন তাহলে খেলবেন কীভাবে? চোটের ভাবনা মাথায় নিয়ে খেলা যায় না। ভাগ্য ভাল মুজিব চোট পায়নি। আমি নিশ্চিত আগামী দিনে এ ব্যাপারে নজর দেওয়া দরকার।’
তবে মাঠের এমন দশাকে ম্যাচ হারের জন্য অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে রাজি নন ট্রট। কিন্তু বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করার জন্যে ধর্মশালা আদৌ উপযুক্ত কিনা, সেটা ভেবে দেখতে বলেছেন আয়োজকদের। ট্রট বিশ্বকাপের সব মাঠের আউটফিল্ড আইসিসির খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে কিছুটা রেখেঢেকে কথা বলেছেন ম্যাচসেরা বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ, ‘মাঠ দেখে খুব ভারী মনে হয়েছে। বল যাচ্ছিল না। কিন্তু আউটফিল্ডকে সব দোষ দিতে রাজি নই।’ ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন অবশ্য নতুন নয়। অপ্রস্তুত মাঠের কারণে বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের তৃতীয় টেস্ট এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, মাঠে ছত্রাকের উপস্থিতি ছিল। একইসঙ্গে ঘাসের ঘনত্ব নিয়েও তখন প্রশ্ন ওঠে। এই মাঠেই আগামীকাল ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিতর্কিত এই ভেন্যুতে আগামী ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডস, ২২ অক্টোবর ভারত-নিউজিল্যান্ড এবং ২৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ রয়েছে। খবর জাগোনিউজ’র