চবি সংবাদদাতা »
ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় সশরীরে ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার থেকে পুনরায় চালু হয়েছে সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম। কিন্তু চালু হয় নি লোকো মাস্টারদের কর্মবিরতির সময় বন্ধ হওয়া চবির ৩ জোড়া শাটল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারি থেকে মাইলেজ ইস্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচল করা সাত জোড়া ট্রেনের মধ্যে তিন জোড়া শাটল ট্রেন অনির্দিষ্টকালের জন্য না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় লোকো মাস্টাররা। এর প্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকে ১৩১/১৩২, ১৩৫/১৩৮ ও ১৪১/ ১৪২ নম্বরধারী তিন জোড়া শাটল ট্রেন। একইসাথে একই কারণে লালমনিরহাট-সান্তাহার-লালমনিরহাট ২০/১৯, ঢাক-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা সকালের ২১৩/২১৪, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা দুপুরের ২১৯/২২০, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা বিকেলের ২২৯/২৩০ ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রাতের ২৩৩/২৩৪ নম্বরের ট্রেনগুলোও বন্ধ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ৩০ জানুয়ারি লোকো মাস্টাররা কর্মবিরতি স্থগিত করার পর থেকে সারাদেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে সারাদেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও আটকে থাকা চবির ৩ জোড়া শাটল চালু হয় নি।
এদিকে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হলেও চলতে দেখা যায় নি বন্ধ হওয়া শাটল। এ নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা জলে জানা গেছে, সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই এখন ক্যাম্পাসে যাতায়াত করছে। কিন্তু সকাল সাড়ে সাতটার শাটলটি বন্ধ থাকার কারণে আটটার ট্রেনে গাদাগাদি করে আসতে হয়েছে। গাদাগাদি হওয়ার কারণে শাটলে উঠতে পারেন নি বলেও খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, রেলওয়ে গার্ডদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। চুক্তি নবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় রেল ভবনে আবেদন করেছি। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে গার্ডদের চুক্তি নবায়ন হবে। গার্ডদের চুক্তি নবায়ন হলে শাটল চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, শাটল না চলার বিষয়টি দুঃখজনক। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করব।