চবি সংবাদদাতা »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বন্ধ হয়ে যাওয়া তিন জোড়া শাটল অতিসত্বর চালুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রোববার দুপুর দেড়টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই অবরোধ। এ সময় শাটল ট্রেনের পূর্ণ শিডিউল চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে আন্দোলনকারীরা। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাটলের পরিবর্তে সাময়িক বাস সার্ভিস চালু ও দ্রুত সময়ের মধ্যে শাটল পুনরায় চালুর আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, শাটল আমাদের ঐতিহ্য, শটল আমাদের অধিকার। আমরা আমদের তিন জোড়া শাটল ফেরত চাই।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ হওয়া শাটলের সময়ে বাস সার্ভিসের ঘোষণা দিয়েছেন প্রক্টর। যার মধ্যে রয়েছে, বটতলী থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ২টি, বিকেল ২:৩০ এ জিরো পয়েন্ট থেকে শহরের উদ্দেশে ২টি এবং বিকেল ৫:৩০ এ জিরো পয়েন্ট থেকে শহরের উদ্দেশে ২টি বাস ছাড়বে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসন আমাদেরকে সাময়িকভাবে ৩ জোড়া বাস দিয়েছে। যদিও এটি শাটলের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল তবুও আমরা প্রশাসনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এই তিন জোড়া বাসের চক্করে যেন তিন জোড়া শাটলকে গায়েব করে দেয়া না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সাথে বারবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু ক্রু সংকটের কারণে কর্তৃপক্ষ বন্ধ হওয়া শাটলগুলো চালু করতে পারছে না। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শাটলগুলো পুনরায় চালু করার।
তিনি আরো বলেন, শাটলের বিকল্প হিসেবে আমরা সাময়িকভাবে বাস সার্ভিস চালু করেছি। আশা করি এতে করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে। রেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে শাটল চলাচল স্বাভাবিক করব।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি থেকে মাইলেজ ইস্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচল করা সাত জোড়া ট্রেনের মধ্যে তিন জোড়া শাটল ট্রেন অনির্দিষ্টকালের জন্য না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় লোকো মাস্টাররা।
এর প্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকে ১৩১ / ১৩২,১৩৫ / ১৩৮ ও ১৪১ / ১৪২ নম্বরধারী তিন জোড়া শাটল ট্রেন। একইসাথে একই কারণে লালমনিরহাট-সান্তাহার-লালমনিরহাট ২০/১৯, ঢাক-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা সকালের ২১৩/২১৪, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা দুপুরের ২১৯/২২০, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা বিকেলের ২২৯/২৩০ ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রাতের ২৩৩/২৩৪ নম্বরের ট্রেনগুলোও বন্ধ করা হয়।
কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে গত ৩০ জানুয়ারি লোকো মাস্টাররা কর্মবিরতি স্থগিত করার পর থেকে সারাদেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে সারাদেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনো পর্যন্ত আটকে আছে বন্ধ হওয়া চবির তিন জোড়া শটল।