চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পূর্বের ঘটনার জের ধরে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইন।
শুক্রবার বিকাল ৪ টায় শাহ আমানত হলের সামনের রাস্তায় দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সিএফসির নেতারা শাহ আমানত হলের সামনে ও সিক্সটি নাইনের নেতা কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র হাতে দেখা যায়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। দুপুরের পর উভয় হলের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের মাধ্যমে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই ঘণ্টা সংঘর্ষের পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় উভয় গ্রুপকে হলে প্রবেশ করানো হয়। কিন্তু এরপর রব হলে অবস্থান করা সিএফসি গ্রুপের আরেকটি পক্ষ এসে সিক্সটি নাইনের ওপর হামলা চালায়। এর জের ধরে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর উভয় পক্ষের মাঝে চলতে থাকে সংঘর্ষ।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, গতকাল স্টেশনে এক শিক্ষার্থীর সাথে মারামারিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। তবুও আমরা আমাদের ছেলেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। কিন্তু আজ তারা রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আমাদের উস্কানি দেয়ার কারণেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএফসি পক্ষের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, সিক্সটি নাইনে কোন নেতা নেই। তাদের কেউ কাউকে মানে না। আজ আমাদের কর্মীরা নামাজ পড়ে ফেরার সময় সিক্সটি নাইনের কর্মীরা আমাদের কর্মীদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার ঝামেলা শুরু হয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি জানাচ্ছি।
সংঘর্ষের ব্যাপারে প্রক্টর ড. নুরুল আজিম শিকদার বলেন, আমরা সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয়পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরেই অপর একটি অংশ এসে যোগ দিলে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর রাত আটটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রক্টরিয়াল বডির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হই।
প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, শুরু থেকেই আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এতটাই অসহনশীল যে তারা আমাদের কোনো কথাই শুনতে চায় না। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও প্রক্টরিয়াল বডি শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালাচ্ছে।
চবিতে আবার সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ
আহত ৩০