চবি প্রতিনিধি »
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ১২ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার আমানত ও শাহজালাল হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিবাদে লিপ্ত একটি গ্রুপ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অন্য গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলার ঝুপড়িতে সিক্সটি নাইনের কর্মী মির্জা প্রধান সফলকে মারধর করে সিএফসির কর্মীরা। পরে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিলানী হোটেলে খাবার খেতে গেলে সিএফসি গ্রুপের কর্মী রাসেল শেখকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে সিক্সটি নাইনের কয়েকজন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন সিএফসির ২০১৪-১৫ সেশনের ইখলাস, ২০১৫-১৬ সেশনের আরিফুল ইসলাম এবং রাসেল শেখ, ২০১৮-১৯ সেশনের সামিউল হক দীপন, ২০১৯-২০ সেশনের ইমন, আজহার, ২০১৭-১৮ সেশনের আরিফ তানভীর, আজাদ ও সাগর এবং সিক্সটি নাইনের ২০১৮-১৯ সেশনের জুনায়েদ, ২০১৯-২০ সেশনের রাকাত ও মির্জা প্রধান সফল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবু তৈয়ব জানান, এ ঘটনায় প্রায় ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। অধিকাংশের মাথায় ইট পড়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু জানান, একটা ঝামেলা হয়েছে শুনলাম। ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিএফসি গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ জানান, বিনা কারণে তারা আমাদের এক কর্মীর উপর দলবল নিয়ে হামলা চালায়। এসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে প্রশাসন সুষ্ঠু ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
চবি প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঠুনকো বিষয়ে যারা সংঘর্ষে জড়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।