নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ ৯৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। মঙ্গলবার একদিনে আক্রানেত্মর সংখ্যা ১২৮ জন। পুলিশ ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার আক্রানত্ম রয়েছে। এরমধ্যে তিন জন সংবাদকর্মী রয়েছেন। এরমধ্যে মহানগরীর ১১৫ জন ও উপজেলার রয়েছে ১৩ জন।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নমুনা পরীক্ষায় ১৩৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ১৩৩ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের ১২৮ জন এবং ভিন্ন জেলার পাঁচ জন। চট্টগ্রামে নতুন করে ১২৮ জন আক্রানত্ম হওয়ায় করোনায় মোট আক্রানেত্মর সংখ্যা ৯৭৩ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে ১১৩ জন ও মারা গেছেন ৩৬ জন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৬২টি নমুনার মধ্যে ৫৮টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৫৮টি পজিটিভের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪৪টি ও উপজেলার ১০টি এবং ভিন্ন জেলার চারটি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ১৯৫টি নমুনার মধ্যে ৭৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের ৭৪ জন এবং একজন ভিন্ন জেলার। চট্টগ্রামের ৭৪ জনের মধ্যে মহানগরীরর ৭১ জন ও উপজেলার তিন জন।
তবে গতকাল ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, রিপোর্ট তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। এটি বুধবার প্রকাশ করা হবে।
এদিকে নতুন করে ১২৮ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৯৭৩ জন। এর আগে ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রানত্ম হয়েছিল। এরমধ্যে সাতকানিয়ার এক বৃদ্ধ একজন মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, পটিয়ায় ৬ বছরের এক শিশু মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দেড় ঘন্টার মধ্যে, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনায় শনাক্ত হয়েছেন, নিমতলা এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সাগরিকার এক নাইটগার্ড মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, মোহরার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন এবং সর্বশেষ এনায়েত বাজারের লোকটি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হলো।
এছাড়া ৬ মে পাহাড়তলী লাকী হোটেল মোড় এলাকার বাসিন্দা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস’ায় মারা গেছেন। এছাড়া গত ৬ মে মারা যাওয়ার পর নমুনা রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিনজন, ৭মে বৃহস্পতিবার সাগরিকা এলাকার এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন। ৮মে রাতে বিআইটিআইডিতে আইসোলেসনে থাকা অবস’ায় মারা গেল ৫৫ বছর বয়সী এক পুরম্নষ। এছাড়া গত ১২ মে মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেল হাটহাজারির এক নারী। করোনা শনাক্ত নিয়ে ৩৭ নম্বর হালিশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গত ১৩ মে সকালে মারা যাওয়ার পর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস’ায় মারা গেছে আরো তিনজন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩৬ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া সুস’ হয়ে বাড়ি গেছেন ১১৩ জন।