জঙ্গি হামলার আশংকা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নব্য জেএমবি সদস্যরা বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড নাশকতা এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকা- পরিচালনা করার পাঁয়তারা করছে এমন আগাম তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশসহ দেশের সব ইউনিটকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে (সিটিটিসি) সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপকমিশনার হামিদুল আলম বিষয়টি সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সুপ্রভাতকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জঙ্গি হামলার আশংকায় সদর দপ্তর থেকে এরকম সতর্ক বার্তা দেশের সব পুলিশ ইউনিটকে দেওয়া হয়েছে। আমরাও সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
এদিকে সোমবার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবুও দেশ ও জনগণের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কোনো ধরনের আশঙ্কা রাখতে চাই না।’
তিনি জানান, নিরাপত্তার অংশ হিসাবে বিভিন্ন উৎসবের আগে এসব সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। এবারও সে ধরনের তথ্য পেয়ে আমরা পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে আগাম প্রস্তুতি হিসাবে সতর্ক থাকতে বলেছি।
সিএমপি’র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি অপারেশন) তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সিএমপিতে এসেছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনায় জানা গেছে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় সাধারণত বড় ধরনের হামলার মাধ্যমে ‘বেঙ্গল উলায়াত’ ঘোষণা করা হয়। তারই আলোকে এ দেশের জঙ্গি নব্য জেএমবির সদস্যরা জঙ্গি হামলাসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা পরিচালনা করতে পারে। জঙ্গিরা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের স্থাপনা, যানবাহন, বিমানবন্দর, তিন দেশের দূতাবাস, এমনকি ব্যক্তি বিশেষের ওপর এই হামলা চালাতে পারে। চিঠিতে সম্ভাব্য দিন-তারিখ উল্লেখ না থাকলেও, হামলার সময় সকাল ৬-৭টা অথবা সন্ধ্যা ৭-১০টায় হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যে আশঙ্কা করে বলা হয়েছে, হামলাকারীদের বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছর হতে পারে। মুখে ক্লিন শেভড, তবে দাড়িয়ে থাকতে পারে। একই সঙ্গে টি-শার্ট, প্যান্ট পরা থাকবে, সঙ্গে হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, কেডস, পেছনে ব্যাকপ্যাক থাকতে পারে। হামলার সময় হামলাকারী অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।