সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আশঙ্কা ছিল, চট্টগ্রাম টেস্ট খেলা হবে না সাকিব আল হাসানের। সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। ফিটনেস ঠিক না থাকায় পুরো দল চট্টগ্রামে গেলেও সাকিব ঢাকাতেই থেকে গেছেন। দল ঘোষণার দিনই বলা হয়েছিল ফিট থাকলেই কেবল চট্টগ্রাম টেস্ট খেলবেন সাকিব।
আজ (মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের টেস্ট দলের সদস্যরা একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে চট্টগ্রাম যান। এদিন দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৬১৫ চার্টার্ড ফ্লাইটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় দুই দল। বিকাল ৫টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুই দল চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লু বে ভিউতে পৌঁছায়। কিন্তু সেই দলের সঙ্গী হননি সাকিব। মূলত ফিটনেস ভালো না থাকাতেই চট্টগ্রামে যাননি সাকিব। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে ছিটকে যান সাকিব। দুবাই থেকে সোজা চলে যান স্ত্রী-সন্তানদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে চলে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। কয়েক সপ্তাহের বিশ্রাম নিয়ে রবিবার রাতে দেশে ফেরেন তিনি। দেখা করেন জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালাফতের সঙ্গে। আজ সাকিবকে পর্যবেক্ষণ করার পর দেখা যায় তিনি এখনও ফিট নন খেলার জন্য।
এই অলরাউন্ডার না থাকায় বাংলাদেশ দলের শক্তি অনেকটাই কমে গেলো। এমনিতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে। সোমবার রাতে সাকিবকে নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য ১৬ জনের দল ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচকরা। সাকিব না থাকায় দল এখন ১৫ জনের।
গত বছরের মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজে সর্বশেষ টেস্ট খেলা ১৮ জনের দল থেকে এবার বাদ পড়েছেন চার জন। নেই মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। আর এখন ফিটনেস সমস্যায় খেলা হচ্ছে না সাকিবের।
২০১৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল মুমিনুল হকরা। যদিও ২০২০ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়ে দুটি টেস্ট খেলেছিল। দীর্ঘ ছয় বছর পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলার সুযোগ হচ্ছে আবার। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে শুরু প্রথম টেস্ট।
প্রথম টেস্টের স্কোয়াড: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা।