বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানের আমন্ত্রণে ইউরোপীয়ন ইউনিয়নভুক্ত আরো একটি দেশ স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আগত পোর্ট অব কোপারের প্রতিনিধি দল ২১ জুন দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহানের সাথে চ.ব.ক বোর্ড রুমে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এম. আহসানুল হক, প্রাক্তন পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, পোর্ট অব কোপারের প্রতিনিধি H.E. Mr. Mitja Dujc, Comercial Director, Port of Koper, Slovenia, H.E. Mr. Miha Groznik, Honoray Consul of Bangladesh in Slovenia, H.E. Mr. Borut Semrl, Manager (Sales) Port of Koper Slovenia, Consulate of Slovenia in Dhaka এর পক্ষে Mr. Sadequl Kabir Ges Mr. M. Zahid Ahmed বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার এসোঃ (বাফা) সভাপতি কবির আহমেদ, সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন সহ বিজিএমইএ’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও প্লানিং) জাফর আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসির উদ্দিন সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহাজাহান, এনপিপি, বিসিজিএমএস, এনডিসি, পিএসসি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নপূর্বক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর সমূহে কন্টেইনার স্বল্পতা ও জাহাজ সংকটের কারণে পণ্য পরিবহনে ব্যয় ও সময় বেড়ে যায়। এ প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পণ্য পরিবহনে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর সমূহ পরিহার পূর্বক ইতালি, ইংল্যান্ড, রোটারডেম, ডেনমার্ক, পূর্তগাল ইত্যাদি বন্দর সমূহ সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে বিদেশী ক্রেতাদের সময় এবং খরচ অনেকাংশ হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে স্লেভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের সাথে সরাসরি জাহাজ চলাচলের উদ্যোগকে সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি এ’ক্ষেত্রে বিদেশী ক্রেতা, শিপিং কোম্পানি সহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আমন্ত্রিত অতিথি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে তৈরী পোশাকসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য চালান বিভিন্ন ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্টের মাধ্যমে রপ্তানি হচ্ছে, এতে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
এক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে স্লেভেনিয়ার পোর্ট অব কোপার বন্দরের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ পরিচালনা করে হলে সময় ও অর্থ অনেকাংশে সাশ্রয় হয়ে রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা বৃদ্ধি পারে এবং পূর্ব ও মধ্য ইউরোপে বাংলাদেশের সহিত রপ্তানি বাণিজ্যে বিশাল সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে।
সরাসরি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে স্লেভেনিয়ার পোর্ট অব কোপার বন্দরের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে । বিজ্ঞপ্তি