পিকনিক বাস ও ম্যাজিক গাড়ির সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়ায় একটি পিকনিক বাসগাড়ি ও ম্যাজিক গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ম্যাজিক গাড়ির ৪ যাত্রী নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় উপজেলার উত্তর হারবাং কলাবাগান নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহতদের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। আহতদের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং করমুহুরী পাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে মো. রিদুয়ান (৩৩), একই ইউনিয়নের পুর্ব বৃন্দাবনখিল সামাজিক পাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে আবু বক্কর (৪২), উত্তর হারবাং বত্তাতলী এলাকার মোজাফফর আহমদের ছেলে মো. মহি উদ্দিন (৩০), পুর্ব বৃন্দাবনখিল সামাজিক পাড়ার বাদশা মিয়ার ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন (৩৪)।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চারজনই ছিল শ্রমিক বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ। সকালে তাঁরা কাজ করতে হারবাং স্টেশন থেকে গাড়িতে উঠে লোহাগাড়া যাচ্ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন ও হাইওয়ে পুলিশ জানান , বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যাত্রী নিয়ে একটি ম্যাজিক গাড়ি (চট্রমেট্রো ১১-১৭৮৯) লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ যাচ্ছিলেন। ঐ সময় গাড়িটি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার উত্তর হারবাং কলাপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অভিমুখী একটি পিকনিক বাস জাকির ট্রাভেলস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-১৩১৫) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ম্যাজিক গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং বাস গাড়িটিও সড়কের পাশে পড়ে যায়। এ সময় ম্যাজিক গাড়িতে থাকা যাত্রী রিদুয়ান, আবু বক্কর, মহিউদ্দিন ও জয়নাল আবেদীন নামে চারজন শ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা হাইওয়ে থানা পুলিশ, চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস, হারবাং পুলিশ ফাঁড়িসহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হতাহতের উদ্ধার করেন। তার মধ্যে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক ভুইঁয়া বলেন, নিহত চারজনের মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে বাস গাড়ির চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।