নিজস্ব প্রতিবেদক :
রেডজোন খ্যাত চকবাজারে স্বাস্থ্যবিধির কোনোকিছুই না মেনে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে অর্ধশতাধিক অবৈধ টমটম। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। কারণ টমটমে বসার ক্ষেত্রে নেই সামাজিক দূরত্ব। চালকদের অধিকাংশ অল্পবয়সী। সচেতনতার বিষয়ে তারাও উদাসীন।
স্থানীয়রা জানান, থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করেই প্রতিদিন চলছে এসব টমটম। সে কারণে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ টমটম।
শনিবার (২০ জুন) সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিটি টমটমে চালকের দু’পাশে ২ জন ও ভিতরে ৪ জনসহ মোট ৬ জন করে বসিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে ধুনীরপুল-রাহাত্তারপুলের উদ্দেশ্যে। ভাড়া আদায় করা হচ্ছে উঠানামা ১০ টাকা।
এলাকার বাসিন্দা প্রলয় চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের টহল টিমের গাড়ি প্রতিদিন ধুনীরপুলে আসে। ওদের সামনেই টমটগুলো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রতিদিন চলাচল করছে। ওরা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।’
জানা গেছে, টমটম ও রিক্সা ছাড়া অন্যকোন যানবাহন নেই ওই পথে। ফলে অনেকে গাড়ি ভাড়া বাঁচাতে বাধ্য হয়ে টমটমে চলাচল করেন।
একজন টমটম চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘লাইনে প্রতিদিন ৪৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। এরপর আছে মালিকের জমা। যাত্রী কম নিলে চাঁদার টাকায় তুলতে কষ্ট হয়ে পড়ে। আর যাত্রীরা কেউ দ্বিগুণ ভাড়া দিতে চাই না। বললে উল্টো ঝগড়া করে।’
টমটম যাত্রী গৃহিনী রেহেনা আক্তার বলেন, ‘রিকশাচালকেরা অনেক সময় বাড়তি ভাড়া দাবি করে। ফলে বাধ্য হয়ে এসব টমটমে চলাচল করতে হয়। কারণ রাহাত্তারপুল থেকে টমটমে আসা-যাওয়ায় ২০ টাকা আর রিকশায় লাগে ৫০ টাকা।’
শনিবার বিকালে চকবাজার থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নিজাম উদ্দিন এর মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে টমটমের কথা শুনতেই তিনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা টমটম নিয়ে কেন এত চিন্তা করেন? আমাদের মত আপনাদের মত শিক্ষিতরাই স্বাস্থ্যবিধি মানে না। অশিক্ষিত লোকদের আর স্বাস্থ্যবিধি কি মানাবেন? প্রাইভেট কার, চাইনিজ রেস্টুরেন্টে যারা খেতে যায় ওরা কি টমটম চালক। শিক্ষিত মানুষেরাই বেশি অসচেতন। আমি দেখলাম চকবাজারের হকার, টমটম এসব ছাড়া মনে হয় আর বিষয় নেই।’
উল্লেখ্য, গত পহেলা জুন হতে সারাদেশে চালু হয় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল। বাড়ানো হয়েছে ৬০ শতাংশ ভাড়া। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় ১১ শর্ত নির্ধারণ করা হয় দূরপাল্টা ও নগরপরিবহন বাস চলাচলে।
মহানগর