দেশের ইতিহাসে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার সবচেয়ে বড় সুচিন্তিত, জনকল্যাণমুখী ও সাহসী বাজেট উল্লেখ করে এটা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্র্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমান। তিনি উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রী ঘোষিত এ বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
খলিলুর রহমান বাজেট প্রতিক্রিয়ায় আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও মূল্যস্ফীতির মত চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জন্য ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে রাজস্ব আহরণের জন্য ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তা কঠিন হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭/২৪ কর্মঘণ্টার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলে এ লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হতে পারে। নিয়মিত কর প্রদানকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর করের বোঝা আর না বাড়িয়ে নতুন করদাতা সৃষ্টির উপর গুরুত্ব প্রদান করেন তিনি। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের ফলে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব প্রয়োগ সময়োপযোগী বলে তিনি মনে করেন। বিশ্বের অনেক দেশেই এখনও করোনা মহামারি বিদ্যমান। তাই এ ক্ষেত্রে ৫ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ সময়োপযোগী ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপ এবং একান্ত প্রচেষ্টায় নির্মিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন্নের পাশাপাশি শিল্প ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক জোয়ারের সৃষ্টি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি মেট্রোরেল, চট্টগ্রাম বে-টার্মিনাল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর এবং চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলপথসহ অন্যান্য প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
বিভিন্ন খাতে বাজেটে প্রদানকৃত বরাদ্দ যেন সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি