আপিলের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ না বাড়িয়ে অবিলম্বে গৃহকর আইন-১৯৮৬ বাতিলের উদ্যোগ নিতে মেয়রের প্রতি দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
গতকাল শনিবার মোগলটুলী কাটা বটগাছ এ অনুষ্ঠিত সভায় এ দাবি জানানো হয়। সর্দার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সুরক্ষার সভাপতি মো. নুরুল আবছার বলেন, ঘরভাড়ার উপর গৃহকর নেয়া পৃথিবীর কোথাও নেই, এমনকি বাংলাদেশের কোথাও নেই। চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতায় ভোগা এক অবহেলিত নগরী। এখানে এ ধরনের কর নেয়া মানে মানুষের উপর আরও ভোগান্তি বাড়ানো। তিনি আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর কদমতলীতে অনুষ্ঠাতব্য গণমিছিলে যোগ দেয়ার জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ২৩ তারিখের গণমিছিল বানচাল করার জন্য মেয়র কিছু দালাল শ্রেণির সর্দার-মাতবর দিয়ে এলাকায় এলাকায় আপিল করার জন্য জনগণের কাছে আপিল ফরম পাঠাচ্ছেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক। নগর পিতা হিসেবে উনার দায়িত্ব ছিলো, ঘরভাড়ার উপর অযৌক্তিক গৃহকর আইন বাতিল করার উদ্যোগ নেয়া এবং নতুন আইন না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মে অর্থাৎ বর্গফুটের ভিত্তিতে কর নির্ধারণ করা।
মোজাম্মেল হোসেন জ্যাকির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, করপোরেশনে নাগরিক সেবা নেই বললেই চলে। পুরো বর্ষায় এ নগর পানিতে ডুবে থাকে। ড্রেনে পড়ে মানুষ মারা যায়।
হাসান মারুফ রূমী বলেন, ঘরভাড়ার উপর গৃহকর নেয়ার জন্য জবরদস্তি করলে ‘করবিদ্রোহ’ হবে। ভাড়ার উপর কর নিতে হলে তা আগে ঢাকা থেকে শুরু করা হোক। অন্যথায় বিগত সময়ে চট্টগ্রামবাসী যেভাবে দাবি আদায় করেছিল এবারো একইভাবে দাবি আদায়ে সোচ্চার হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুরক্ষার অন্যতম নেতা মুজিবুল হক, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, শ্রমিক নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম, স্থানীয় সর্দার মো. জাফর, মো. আলাউদ্দন, আবদুর রহিম চৌধুরী, আবদুল হালিম, আবুল খায়ের, মোজাম্মেল হক, যুবনেতা মুন্না খান প্রমুখ। সভাশেষে নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। বিজ্ঞপ্তি