‘গুম এখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীরা এই হাতিয়ার ব্যবহার করছে যথেচ্ছভাবে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অব্যাহতভাবে গুম করা হচ্ছে বিভিন্ন পেশার মানুষকে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ফেরত দিলেও বাকীরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।’
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর কাজীর দেউরি নুর আহম্মদ সড়কে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, বোয়ালখালীর নজরুল ইসলাম বাচাসহ ছাত্র, যুবক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, মুক্তমনা মানুষকে গুম করা হয়েছে। মানুষের এখন জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। এইসব গুমের সাথে রাষ্ট্র জড়িত। বাংলাদেশে শত শত গুমের হোতা হচ্ছে সরকারি এজেন্সিগুলো। গুম হচ্ছে অখ- কর্তৃত্ববাদী বর্বর শাসনেরই অনুষঙ্গ। গুম হওয়া পরিবারগুলো অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের প্রিয়জনকে ফেরত পাওয়ার জন্য।’
মানববন্ধনে গুম হওয়া বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাচা চেয়ারম্যানের স্ত্রী সন্তানসহ অন্যান্য গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই গুমের শিকার হয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। গুম করা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসলেই জবাবদিহিতা ফিরবে এবং গুমের অবসান হবে। দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের মিলিত কণ্ঠে বর্তমান অপশাসনের অবসানের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নের সব অস্ত্র এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। হত্যা, গুম থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মতো কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে আওয়ামী সরকার। নিজেদের ক্ষমতাকে কন্টকমুক্ত করার জন্য বিরোধী দলের অস্তিত্বকে দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে সব শক্তি নিয়োগ করেছে তারা। বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিঘেœ চলাচল করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে তারা।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, সালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ হারুন জামান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, নুরুল কবির, জসিম উদ্দিন শিকদার, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, জাকের হোসেন, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, উত্তর জেলা মহিলাদলের সভাপতি মেহেরুন্নেসা নার্গিস, ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আবছার জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি