নিজস্ব প্রতিবেদক »
কঠোর লকডাউন শিথিলতায় নগরে শুরু হয়েছেগণপরিবহন চলাচল। এতে মিলেছে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি। খোলা হয়েছে মার্কেট, শপিংমলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে বিঘিœত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। গতকাল বৃহস্পতিবার কঠোর লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ না মানার বিষয় লক্ষ করা যায়।
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ১৭ দিন পর গত বুধবার মধ্যরাত থেকে আটদিনের জন্য কঠোর লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে এতে।
অক্সিজেন মোড় এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, দূরপাল্লার পরিবহন নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও এর তোয়াক্কা না করে চলাচল করছে বেশিরভাগ গণপরিবহন। দ্বিগুণ ভাড়ার পাশাপাশি গাদাগাদি করে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। সড়কে পরিবহন থাকলেও ভাড়ার নৈরাজ্য কোন অংশে কমেনি।
রেয়াজউদ্দিন বাজারে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয় উপেক্ষিত।ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা দেখা গেলেও, বেশিরভাগ দোকান কর্মচারীকে মাস্কবিহীন দেখা যায়।
শাহ আমাানত সেতু সংলগ্ন এলাকায় বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী সুজাওয়াত উল্লাহ্ বলেন, ‘গণপরিবহন সড়কে নামলেও এতে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউই। মানুষের ভাড়া গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ। কিছুসংখ্যক যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে বসছেন। কাউকে দমানো যাচ্ছে না। অনেকে মাস্ক ছাড়াও গাড়িতে উঠে পড়ছেন।
এদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ককরে বলছেন, মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। সাথে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। যদি স্বাস্থ্যবিধি মানা না হয় তবে দিতে হবে কঠিন খেসারত।মাস্ক ৯০ শতাংশ করোনা সংক্রমণ রোধে কার্যকর।