‘ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের অবদান অনস্বীকার্য’

গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী ।
মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, শেখ কামাল পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়া, সংস্কৃতি, সংগীত চর্চা, অভিনয়, বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে বিশ^ দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধেও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম।
উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, সাহেদ ইকবাল বাবু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, শৈবাল দাশ সমুন, পুলক খাস্তগীর, নুর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমা, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু প্রমুখ।
মিলাদ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন সিটি কর্পোরেশনের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও সরকারি কোন পদ পদবি ও ক্ষমতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিলনা। শেখ কামাল স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্রীড়াঙ্গনে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বের বড়-বড় দলকে পরাজিত করায় আজ বিশেষ করে মনে পড়ছে শহীদ শেখ কামালের অসাধারণ গুনাবলী। এমন গুনাবলীর কারণেই এতো বছর পরও তিনি আমাদের মাঝে চিরঞ্জীব-চিরভাস্বর হয়ে আছেন। তিনি তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ শেখ কামালের জীবন থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
মেয়র শেখ কামালসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
মিলাদ ও আলোচনা শেষে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, কাউন্সিলরগণ ও কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের সাথে নিয়ে সিটি কর্পোরেশন চত্বরে স্থাপিত শহীদ ক্যপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্যপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেনশহীদ শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল বিকেলে সংগঠনের দোস্ত বিল্ডিং কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সিটি কলেজ জামে মসজিদের খতিব আলহাজ মওলানা মো. আবু সাঈদ নুরীর পরিচালনায় দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহসভাপতি এড. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, মো. আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, জসিমউদ্দিন শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন বাবলু, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক জাফর আহমেদ, প্রচার সম্পাদক প্রদীপ চক্রবত্তী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নাজিম উদ্দিন তালুকদার, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহউল আলম লাভলু, উপদপ্তর সম্পাদক আ সা ম ইয়াছিন মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, মো. ইদ্রিচ, মো. সেলিম উদ্দিন, গোলাম রব্বানী, মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, যুবলীগ নেতা রাশেদ খান মেনন প্রমুখ। দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান বলেন, শহীদ শেখ কামাল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং এদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তিনি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে গেছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এদেশের মানুষের হৃদয়ে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেছেন, শহীদ শেখ কামাল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আধুনিক ক্রীড়া সংগঠক, সংস্কৃতিসেবী বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ। একজন নির্লোভ ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হয়েও সাধারণ মানুষের ন্যায় জীবন-যাপন করতেন। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি সকলের কাছে একজন অহমিকা মুক্ত ছাত্রনেতা হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে সমর্থ হন।
৫ আগস্ট আন্দরকিল্লার দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ট সন্তান, বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে খুনীরা শেখ কামালকে হত্যা করে, কারণ খুনীরা শেখ কামালের বহুমাত্রিক গুনের কথা জানত। মুক্তিযুদ্ধের সময় কর্ণেল ওসমানীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে তিনি নৈপুণ্য দেখাতে সমর্থ হন। পিতা বন্দী, মা-বোনেরা দেশে কোন অজানায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন? এমতাবস্থায় শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে একজন শতভাগ দেশপ্রেমিকের পরিচয় দিয়েছেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোছলেহ উদ্দিন মনসুর, শিক্ষা সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, শ্রম সম্পাদক খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য দেবব্রত দাশ, চেয়ারম্যান নাসির আহমদ, মোস্তাক আহমদ বিকম, এ কে আজাদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, সৈয়দ নুরুল আবছার, মৎস্য জীবী লীগ যুগ্ম আহবায়ক সুরেশ দাশ, জাহেদুর রহমান সোহেল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, ডা: আর কে দাশ, শেখ মো. মহিউদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা সৈকত চৌধুরী, ইকরামুল হক মুন্না, জাবেদ হোসেন, মো. শওকত আলম, শাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।
দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌলানা ফজলুল কাদের।