বিভাগীয় মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট
এ জেড এম হায়দার :
দ্বিতীয় দিনের খেলাও টাইব্রেকারে নিস্পত্তি হয়েছে। আর এতে শেষ হাসি হেসে নোয়াখালীকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে চাঁদপুর জেলা। স্পটকিকে ৫-৪ গোলে জয় পায় ইলিশের জেলা চাঁদপুর। এস. আলম গ্রুপ বিভাগীয় মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম ভেন্যুতে গতকাল এ দু’দলের নির্ধারিত ৮০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়। এ জয়ে সেমিফাইনাল উঠার লড়াইয়ে চাঁদপুর কাল (৭ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আজ খেলার বিরতি। টাইব্রেকারে চাঁদপুরের শামীম, ফরহাদ, আবদুল্লাহ, ইয়াকুব ও তুহিন এবং নোয়াখালীর নিজামুল, ইকবাল, রাকিব ও রনি গোল করেন। তাদের পারভেজ বাইরে শট করেন।
এর আগে নির্ধারিত সময়ের প্রথমাধৃ ছিল একেবারে নিস্প্রভ। অগোছালো খেলার মদ্য দিয়ে এ অর্ধ পাড় হলেও দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় প্রান ফিরে আসে। উভয়ে পরিকল্পিত আক্রমণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে খেলাকে প্রানবন্ত করেছে। এর ২২ মিনিটে রনি’র দূরপাল্লার বিপজ্জনক শট কিপার সায়েফ পাঞ্চ করে প্রতিহত করলেও এগিয়ে যাওয়া হয়নি নোয়াখালীর। অবশ্য ৫ মিনিট ব্যবধানে বদলি ইমামের অসাধারণ শটে গোল পেয়ে তারা এগিয়ে যায়। বড় ডি-বক্সের বামপ্রান্তে ফাঁকায় পেয়ে ইমাম বা পায়ের দূর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান (১-০)। কিন্তু ইনজুরি সময়ে তাদের কপাল পুড়ে। ফাউলের দায়ে বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি-কিক পায় চাঁদপুর। মিডফিল্ডার শামীমের অসাধারণ কিক প্রাচীর ও কিপারকে পরাস্ত করে জাল স্পর্শ করলে সমতা ফিরে আসে (১-১)। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠে তার হাতে। পুরস্কার প্রদান করেন নোয়াখালী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য আবদুল ওয়াজেদ পিন্টু।