চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
নিজস্ব প্রতিবেদক»
সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ফুটেজে দেখা যায়, অজগরের পেট থেকে বের করা আনা হচ্ছে পূর্ণ বয়স্ক একজন নারীর অক্ষত দেহ। জীবিত নয়, মৃত। মহিলাটির নাম ছিল ওয়া থিবা। ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি প্রদেশের মুনা দ্বীপের বাসিন্দা। অজগর সাপ ওয়া থিবাকে অক্ষত গিলে ফেলেছিল। আপনাদের এই অজগরের বাচ্চাগুলো বড় হয়ে আমাদের দেশের কোন নারীকে খেয়ে ফেলবে না তো?
এ প্রশ্ন করতেই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. শাহাদত হোসেন (শুভ) অট্টহেসে বললেন, আমরাই তো অজগরকে খেয়ে নিই। কিন্তু এই অজগরের বাচ্চাগুলো পরিবেশ রক্ষা করবে। আমরা ২৮টি অজগরের বাচ্চা ফোটাতে সক্ষম হয়েছি।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ডিম ফুটিয়ে বের হলো ২৮টি অজগর সাপের বাচ্চা। দীর্ঘ ৬৭ দিন অপেক্ষার পর ৩১টি ডিম থেকে ২৮টি অজগরের বাচ্চা বের হলো। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ২৮ টি অজগরের বাচ্চ ফোটাতে সক্ষম হয়েছে।
গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ।
তিনি জানান, ২০১৯ সালের জুনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ২৫টি অজগর সাপের বাচ্চা ফোটানো হয়েছিল। যা পরবর্তীতে বন্য পরিবেশে ছেড়ে দেয়া হয়। এবার ৩টি ডিম নষ্ট হয়েছে, বাচ্চা ফোটেনি। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ২২টি বড় অজগর রয়েছে। সদ্যফোটা সাপের বাচ্চাগুলোকে চামড়া বদল না করা পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে ইনকিউবেটরে রেখেই। চামড়া বদল করার পর এগুলোকে খাবার দেওয়া হবে।
তিনি আরো জানায়, চিড়িয়াখানায় অজগররা খাঁচায় ডিম পাড়ার কারণে ডিম নষ্ট হয়ে যায়। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই একটি ইনকিউবেটর তৈরি করি। এরপর খাঁচা থেকে ডিম সংগ্রহ করে ইনকিউবেটরে এনে রাখা হয়। ইনকিউবেটরেই বাচ্চগুলো ফোটে। ২০ দিন পর বাচ্চাগুলোর চামড়া বদল শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করব। তিনি যদি নির্দেশনা দেন বন্য পরিবেশে ছাড়ার জন্য তখন বন্য পরিবেশে ছেড়ে দেব।
পরিবেশের উপর সাপের প্রভাব কেমন জানতে চাইলে শুভ বলেন, কৃষক ও পরিবেশের জন্য একটি প্রাণী সাপ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সাপ প্রয়োজন। কিন্তু আমরা সাপ দেখলেই হত্যা করি। কিন্তু সাপ তো নিজ থেকেই কোন ক্ষতি করে না বা কামড়ায় না।