নিজস্ব প্রতিবেদক »
শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীর মরদেহ গতকাল (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে আটটায় তাঁর প্রিয় শহর চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় শহীদ মিনারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফসহ বিশিষ্টজনেরা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মুশতারী শফীর জানাজা হয়। শব্দসৈনিক বেগম মুশতারীর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীর। ৮৪ বছর বয়সী মুশতারী শফী কিডনি, রক্তে সংক্রমণসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আজ সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের শহীদ মিনারে রাখা হবে তাঁর মরদেহ। বিভিন্ন সংগঠন, সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন শহীদজায়ার প্রতি। নগরের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজা শেষে চট্টগ্রামের চৈতন্য গলির কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ এপ্রিল মুশতারী শফীর স্বামী চিকিৎসক মোহাম্মদ শফী ও ছোট ভাই এহসানুল হক আনসারীকে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ৭ সন্তান নিয়ে ভারতে শরণার্থী হিসেবে যাওয়ার আগে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হামলার মুখে চৈতন্য গলির ওই কবরস্থানে সন্তানদের নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন লড়াকু এই নারী।
বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ বিশিষ্টজনেরা।