নগরীতে মানববন্ধন
সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভ্লপমেন্ট, ঢাকা এবং এনভায়রনমেন্টাল এওয়ারনেজ অ্যান্ড রিসার্চ নেটওয়ার্ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যেগে গতকাল ২৪ জুন বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের প্রতিশ্রুতি চেয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান, ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রন মেন্টাল সায়েন্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. অলক পাল, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রার্থী ঘোষের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক প্রণব বল, রফিক আহমেদ সোবহানি, নবনিতা সরকার এবং সাহেদুল আলম। প্রধান অতিথি খালেদ মিসবাহুজ্জামান বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, কার্বন নির্গমন জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি শব্দগুলোর সাথে আমরা পরিচিত হয়েছি বিগত কয়েক দশকে, কিন্তু এখনও এসব বিষয়ে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন বর্তমানে কার্বন নির্গমনের পরিমান বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং কার্বন নির্গমনরোধ করতে শুধুমাত্র সরকারের না, শিল্পপতি এবং জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।’
বিশেষ অতিথি ড. অলক পাল বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে দিনদিন কার্বন নিঃসরণের পরিমান বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি গাছপালা এবং পাহাড়ের সংখ্যাও অধিক হারে কমছে। যার ফলশ্রুতিতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক প্রণব বল বলেন, ‘যে হারে গাছ কাটা হচ্ছে সেভাবে গাছ রোপণ করা হচ্ছে না, এই বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের মধ্যে রফিক আহমেদ সোবহানি বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ রোধ করতে হলে গাছ লাগানোর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন পদ্ধতির উদ্ভাবন করতে হবে। যেমন শিল্পকারখানার কার্বন সরাসরি বায়ুম-লে নিঃসরণ না করে মাটির নিচে সংরক্ষণ করতে হবে।’
সাহেদুল আলম বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ কমাতে হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার করতে হবে।
প্রার্থী ঘোষ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় উপযুক্ত বাস্তবতার আলোকে আমরা কয়লাসহ অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন, এগুলোতে বিনিয়োগ এবং ব্যবহার বন্ধে সুস্পষ্ট ও দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার চাই।’
নবনিতা সরকার বলেন, ‘শিল্প উন্নয়নের এই যুগে আমাদের উচিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দিকে মনযোগ দেয়া’।
আহ্বায়ক জাকারিয়া হাসান বলেন, ‘পৃথিবীকে বাসযোগ্য হিসেবে ধরে রাখতে কার্বন নিঃসরণে রোধের বিকল্প নেই।’
উল্লেখ্য, মানববন্ধনের আহ্বায়ক ছিলেন জাকারিয়া হাসান, এনভায়রনমেন্টাল এওয়ারনেস অ্যান্ড রিসার্চ নেটওয়ার্ক (ইএআরএন) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞপ্তি