সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৬৬ জন। এ সংখ্যা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড।
দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৮৮ জনে। মোট শনাক্ত সংখ্যা দাঁড়াল ৯ লাখ ৪ হাজার ৪৩৬ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ৭০০ জন।
২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৬৫৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ৯৮২টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২২টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১২ জনের মধ্যে ৩৫ জন খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ২২, চট্টগ্রামে ১৬, রাজশাহীতে ২১, বরিশালে ৩, সিলেটে ১, রংপুরে ১০ এবং ময়মনসিংহে ৪ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬৭ জন পুরুষ এবং ৪৫ জন নারী। এদের মধ্যে ১৩ জন বাসায় মারা গেছেন। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে ১ জনকে। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ২৫৩ জন এবং নারী ৪ হাজার ১৩৫ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৪, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১০, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৪, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ৮ হাজার ৩৬৪ জন। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে, গত ৭ এপ্রিল ৭ হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। সে হিসেবে আজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত হলো।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।