নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার জশনে জুলুসে (শোভাযাত্রা) অংশ নিতে চট্টগ্রামে আসেননি পাকিস্তান দরবারে আলীয়া কাদেরিয়া ছিরিকোট শরিফের পীর আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। এমনকি তাহের শাহ্’র ভাই আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবের শাহ ও ছেলে কেউ আসেননি। প্রতি বছর জুলুসের প্রধান আকর্ষণ থাকেন তাঁরা। অথচ তাঁদের অনুপস্থিতিতে ও করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছেন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুসে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর মুরাদপুর এলাকায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে মিলাদুন্নবীর জুলুস শুরু হয়।
প্রতি বছর ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে অরাজনৈতিক সংগঠন আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় বর্ণাঢ্য এ জশনে জুলুস বের হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার জুলুসের রোডম্যাপ সীমিত করা হয়। মুরাদপুর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ষোলশহর দুই নম্বর গেইট পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শেষ হয় জুলুস।
আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এবারের জুলুসের নেতৃত্ব দেন।
জুলুস দেখতেও সড়কের পাশে জড়ো হয় হাজারো মানুষ। বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের শরবত, কমলা, চকলেট, পাউরুটি, পানিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
ফ্রান্সে রাসূলুল্লাহ (সা.) কে অবমাননার প্রতিবাদে জুলুসে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সেøাগান দেন। ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের আহ্বানসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
জুলুস শেষে জামেয়া মাদ্রাসা ময়দানে ঈদে মিল্লাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজারো মুসল্লি অংশ নেন। মুসল্লিরা সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেন। মাহফিলে আনজুমান ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট আলেমরা বক্তব্য রাখেন। মাহফিল শেষে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়।