নিজস্ব প্রতিবেদক »
গত কয়েকমাস ধরে চড়া আলুর দাম এখন কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তবে বছরের ব্যবধানে আড়ত পর্যায়ে বাড়তি এখনো প্রায় ৬৪ থেকে ৭০ শতাংশের বেশি। আলুর চড়া দরের কারণ হিসাবে ফসল উৎপাদনে ঘাটতি, আবাদকৃত ফসল নষ্ট ও কৃষিপণ্যের বেশি দামকে দায়ী করছেন আলুর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর খাতুনগঞ্জ ও রেয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় আলুর আড়তগুলো পরিপূর্ণ। মুন্সীগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে দেশীয় চাষের নতুন আলু এসেছে। তাছাড়া পাশাপাশি আড়তে দেখা যায় গত বছরের পুরোনো আলুর যোগানও পর্যাপ্ত। সে কারণে বর্তমান আলুর বাজার কমতির দিকে।
গতকাল দুপুরে খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাইয়ের আড়তে নতুন আলু বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩২ থেকে ৩৩ টাকা। আর গত বছরের পুরোনো আলু বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা। আর খুচরা বাজারে ভালো জাতের নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। সে হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু বছরের ব্যবধানে এখনো বেশ বাড়তি।
সরকারের তথ্যানুযায়ী, গতবছর যে মানের নতুন আলু বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ২২ থেকে ২৫ টাকা, তা গতবছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দাম বেড়ে বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। যা চলতি বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চড়া দরের মধ্যে স্থিতিতে ছিল। রোববারের পর থেকে তা কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় নেমে আসে।
খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষাকালে দেশের বিভিন্নস্থানে আবাদকৃত ফসল নষ্ট হওয়াতেই কিছুদিন আলুর কৃত্রিম সংকট দেখা যায়। বর্তমান বাজারে নতুন আলু বের হয়েছে। পর্যাপ্ত যোগান থাকায় দাম কমতে শুরু করেছে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মতো একই কথা বলেন রেয়াজউদ্দিন বাজারের আলু ব্যবসায়ীরাও।
চাক্তাই ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফোরকান বলেন, আড়তে পর্যাপ্ত দেশীয় চাষের আলু এসেছে। যোগান ও সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।
রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক শিবলী ফারুক বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত আলুর যোগান রয়েছে। তবে অন্যান্য বছরে এ সময় আলুর দাম অনেক কম থাকে। পরে আবাদের নতুন আলু বের হলে দাম দাম আরো কমবে।