নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
স্বাস্থ্যবিধি মেনে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটসমূহ এবং হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস খুলে দেওয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স এসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্মারকলিপি দেয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন পর্যটন শিল্প বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে ৩০ হাজার হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ লক্ষাধিক মানুষ। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার ফলে এসব পরিবারে অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে। দক্ষ ও যোগ্য পর্যটন কর্মীরা পেশা পরিবর্তন করে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। ফলে পর্যটন শিল্পে দক্ষ ও যোগ্য কর্মীর অভাব দেখা দিবে। দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীরা এখন সম্পূর্ণ কর্মহীন রয়েছে। দীর্ঘদিন হোটেল বন্ধ থাকার ফলে হোটেলে আসবাবপত্র এসিসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া রেস্তোরাঁর কর্মচারী, ঝিনুক ওয়ালা, বীচ হকার, জীপ গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার, কিটকট কর্মচারী, শুটকি বিক্রেতা, বার্মিজ শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বেকার রয়েছে।
কক্সবাজারের ৩০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ভাবে পর্যটন শিল্পের উপর ভিত্তি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে তারা অনেকটা অর্থাহারে-অনাহারে দিনানিপাত করছে। তাই তারা মনে করেন, সব কিছু খুলে দিয়ে শুধু মাত্র কক্সবাজার পর্যটন সেক্টর বন্ধ রাখা অনুচিত।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইতোমধ্যে হোটেল ও রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করেছে। হোটেল রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়া নিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১৫টি বিধি বিধান এবং বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড থেকেও একটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা মেনে চললে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই তারা উক্ত বিধি বিধান মেনে চলতে বদ্ধ পরিকর।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সুবীর চৌধুরী বাদল, সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান টিপু, সুখেন্দু বড়–য়া, রিদুয়ান সাইদী বিপু, মইন উদ্দিন, আব্দুর রহমান পাঞ্জেরী, সোহেল শাহ, মিন্টু বড়ুয়া প্রমুখ।