নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দোকান উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে থেমে ব্যবসায়ী ও পুলিশের সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে। সংঘর্ষে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনির উল গীয়াস ও সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আদালতের নির্দেশে গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় সুগন্ধা পয়েন্টে ৫২ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী এবং প্রশাসনের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কক্সবাজার পৌরসভা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
গত কয়েকদিন ধরে সুগন্ধা পয়েন্টে ৫২ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছিলো। গতকাল দোকানদাররা সময় নেয়, কিছু দোকানদার মালামালও সরিয়ে নেয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রশাসনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা।
গত ১ অক্টোবর সমুদ্র সৈকতের কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টে ৫২ জনের স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের দেওয়া রুল ও স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই স্থাপনা উচ্ছেদে আইনগত কোনো বাধা ছিল না।
ভূমি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত গত ১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্সধারী ব্যক্তিরা পরিচালনা করে আসায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল উচ্ছেদের নোটিশ দেয়। পরে জসিম উদ্দিনসহ ৫২ জন একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। একই বছরের ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানি শেষে হাইকোর্টের রুল ও স্থগিতাদেশ খারিজ করে রায় দেন।
স্বদেশ