ডেস্ক রিপোর্ট »
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় ‘প্রতিপক্ষের’ হামলায় গুলিবিদ্ধ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার (৫৩) মারা গেছেন। রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে গুলিবিদ্ধ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদারের মৃত্যু হয়।
এর আগে শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদার ও তার ভাই জহিরুল ইসলাম সিকদারকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মূলত ইউপি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে এই হামলা।
জহির ইসলাম সিকদার কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংরোড এলাকার মোহাম্মদ জামাল আহমেদের ছেলে। তিনি জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ঝিলংজা ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ। তিনিও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ঝিলংজার লিংরোড এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আরেক সদস্য প্রার্থী লিয়াকতের লোকজন এসে কুদরত উল্লাহর নির্বাচনী অফিসে অতর্কিত গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় সদস্য প্রার্থী ও তার ভাই গুলিবিদ্ধ হন। তাদের প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে শ্রমিক লীগ নেতা জহিরুলের মৃত্যু সংবাদ কক্সবাজারে পৌঁছাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী ও জহিরুলের সমর্থকরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবরোধ করেছে। কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ লিংক রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে। ফলে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে পায়ে হেঁটে কক্সবাজার শহরে প্রবেশ করছে। বিক্ষোভ-অবরোধে অচল কক্সবাজারে আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার পর্যটক।