বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা খোলা রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক স্থিতিশীল রয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নেটের অংশ হিসেবে পোশাকশিল্প শ্রমিকদের গণটিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ শ্রমিকরা সুস্থ থাকলে দেশের অর্থনীতিও সুস্থ আর সচল থাকবে।
তিনি গতকাল চট্টগ্রামের সকল পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের গণটিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
গতকাল সকাল ১১টায় ইউনি গার্মেন্টস্্ লিমিটেড প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল। শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা ঋণ সহায়তা ও স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন পূর্বক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ফলে বর্তমানে বিদেশি ক্রেতাদের রপ্তানি আদেশ বৃদ্ধির কারণে পোশাকশিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
পোশাকশিল্প শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গণটিকা প্রদানে বিজিএমইএ’র অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যক্রম শুরু করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, পুলিশ সুপার (ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩) মোহাম্মদ সোলাইমান ও কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত, বিজিএমইএ প্রাক্তন প্রথম সহসভাপতি এস এম আবু তৈয়ব এবং শ্রমিকদের পক্ষে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন ইউনি গার্মেন্টস্ লিমিটেডের সুজিতা দত্ত।
উল্লেখ্য, ইপিজেডসহ বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত চট্টগ্রামের ৩৫০টি খোলা পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লক্ষ শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে গণটিকা প্রদান করা হবে। গতকাল নাসিরাবাদ এলাকায় ইউনি গার্মেন্টসসহ ১২টি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার শ্রমিককে টিকা প্রদান করা হয়।