নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
উখিয়ায় শিকারির ফাঁদ থেকে ৪৮টি সাদা বক উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উখিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম এর নেতৃত্বে এসব বকগুলো উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মাছকারিয়া বিলে একদল শিকারি ধান ক্ষেতে অবৈধ কারেন্ট জাল পেতে সাদা বক ধরছিল। তাদের জালে একে একে ৪৮টি সাদা বক আটকা পড়ে। পরে শিকারির জালে আটকা পড়া সাদা বকগুলো বনবিভাগ উদ্ধার করে অবমুক্ত করে দেয়। এসময় ধান ক্ষেতে পাতানো শিকারিদের ১২০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে বনবিভাগ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, মাছ, ধান ও প্রাণিকূল সমৃদ্ধ খালবিল জলাশয়গুলোতে যুগ যুগ ধরে অতিথি পাখির আনাগোনা চিরাচরিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ কতিপয় পেশাদার অবৈধ পাখি শিকারি নির্বিচারে পাখি শিকার অব্যাহত রাখায় অতিথি পাখির অস্তিত্ব চিরতরে হারিয়ে যেতে বসেছে। মাছকারিয়া বিলসহ যেসব স্থানে অতিথি পাখিদের আনাগোনা থাকে, সেসব স্থানে প্রতিনিয়ত বনবিভাগের অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে মনে করছি।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ও হতে পারে। একই অপরাধ ফের করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে। কোনো ব্যক্তি অতিথি পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ বা দখলে রাখলে অথবা বেচাকেনা করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন শীত মৌসুমের আগেই অতিথি পাখিসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি দেশের বিভিন্ন জলাশয়-বিলে আসছে। তারা যেন নির্বিঘেœ বিচরণ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব পাখি শিকার থেকে বিরত থাকার জন্য মানুষকে সচেতন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।