নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া :
উখিয়ার উপকূলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম সোনারপাড়া-মনখালী এলজিইডি সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক, ব্রিজ-কালভার্টগুলোতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের লাগাতার টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট খানাখন্দক ও ভাঙন সংস্কারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন উদ্যোগ না নেওয়ায় বর্তমানে এ সড়কে বেশ কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিন উপকূলীয় এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের পূর্বে উখিয়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পাহাড়ঘেঁষা এ সড়ক দিয়ে সোনারপাড়া থেকে মনখালী হয়ে টেকনাফের শাপলাপুর, বাহারছড়াসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল উখিয়া-টেকনাফের উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত বৃহত্তর জনসাধারণ।
জালিয়াপালং ইউনিয়নের চোয়াংখালী গ্রামের মাস্টার নুর হোসাইন জানান, আশির দশকে এ এলাকায় ছিল না কোনো স্কুল, মাদ্রাসা-মক্তব ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান। নব্বইয়ের দশকে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে সোনারপাড়া থেকে মনখালী পর্যন্ত এলজিইডি সড়কটি নির্মিত হলে এতদঞ্চলের নাগরিকসেবা বঞ্চিত বৃহত্তর জনসাধারণ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় সক্ষম হয়। পরবর্তী সময়ে মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলেও এলজিইডি নির্মিত সড়কটিই অধিকতর গুরুত্ব বহন করে আসছে। তাই সড়কটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান এই প্রবীণ শিক্ষক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক জানান, উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিশেষ করে মৎস্যসম্পদ ও পান-সুপারি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তাই উপকূলের জনজীবনের উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দৃশ্যমান আধুনিকায়নসহ এলজিইডি সড়কটির ভেঙে যাওয়া ব্রিজ-কালভার্ট ও সড়ক সংস্কার করা অতীব প্রয়োজন। তিনি বলেন, সড়কের ভাঙনের ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুুরুল আমিন চৌধুরী সোনারপাড়া-মনখালী সড়কের নাজুক পরিস্থিতির বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, সড়ক ও ব্রিজের ভাঙন মেরামত করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু করা হবে।