ঈদুল আজহার দিন নগরীতে তৈরি হওয়া বিপুল বর্জ্য ঈদের দিন বিকাল পাঁচটার মধ্যেই পরিষ্কার করার বিষয়ে প্রস্তুতি সভা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্ন বিভাগ।
গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ঈদের দিনেই কোরবানির বর্জ্য সরিয়ে ফেলার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হন।
এ সময় মেয়র বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যাতে কোন বাধা না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থেকে প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে বলেন।
নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৬টি জোনে ভাগ করে মোট ৩৭০টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে। এ কার্যক্রম সফল করতে ব্যবস্থাপনা করবেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন ও মো. মোরশেদ আলম।
মেয়র বলেন, কোরবানির বর্জ্য কেউ যাতে নালা-নর্দমায় না ফেলে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। প্রয়োজনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতাধীন এলাকায় কেউ অযথা নালায় পলিথিনসহ বিভিন্ন ময়লা ফেললে জরিমানা করার জন্য অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য ক্রাশ প্রোগ্রামের গতি বাড়াতে হবে, অভিযান চালিয়ে জরিমানা করতে হবে কারো বাসায় ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা জন্মানোর মতো পানি জমে থাকলে। প্রয়োজনে কেউ ছাদে উঠতে বাধা দিলে ড্রোন কিনে ছাদে পানি জমে আছে কীনা যাচাই করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, কাউন্সিলর কাজী নুরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আকবর আলী, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, তৌহিদুল হাসান, উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন রিফাত, রুবেল দাশ, ইমরান হোসেন খোকা, আব্দুল্লাহ মো. হাশেমসহ প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিজ্ঞপ্তি