নিজস্ব প্রতিবেদক »
আজ ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস।
১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। নানা শ্রেণি পেশা ও বয়সের মানুষ এতে শরিক হয়েছেন। সবার মুখে ছিল হামদ, নাত, দরুদ আর স্লোগান।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় নগরীর মুরাদপুরপর আলমগীর খানকা শরীফ থেকে পবিত্র মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস শুরু হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া ট্রাস্ট চট্টগ্রামের সবচেয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
আলমগীর খানকা শরীফ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোল শহর, ২নং গেইটে ইউ টার্ন হয়ে আবার মুরাদপুর হয়ে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে জুলুস শেষ হয়। এরপর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা মাঠে মাহফিল, যোহরের নামাজ ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতে সারা বিশ্বের শান্তির জন্য দোয়া করা হবে।
জুলুসের নেতৃত্ব দিয়েছেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরীফের সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ।
এবার জুলুসের পথ অনেকটাই সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
জুলুসের পতাকা, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, তোরণে সেজেছে চট্টগ্রাম নগরের সড়ক, মোড় ও রোড ডিভাইডার।
১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।