চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুরে ফিরে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজেই জয় তুলে নিয়ে গড়ে ইতিহাস। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচটি ছিল ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ। ওই ম্যাচেও দাপুটে ক্রিকেট খেলেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে ও সাকিবের নেতৃত্বে নতুন চেহারার বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল।
ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার কঠিন প্রতিশোধ নিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের ঘরের মাঠে ‘বাংলাওয়াশ’ করলো টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেট দুনিয়ায় বাংলাদেশের আলোচিত তেমন কিছু নেই। ওয়ানডের তুলনায় বরং টি-টোয়েন্টিতেই বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা কম ছিলো। এই ফরম্যাটে ভোগান্তি কারো অজানা নয়। গত দুই বছরে অনুষ্ঠিত দুটি বিশ্বকাপেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতে সাদা বলের ক্রিকেটেই এখন রাজার আসনে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবার ওয়ানডেতে হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা। সেটাও আবার ৩-০ ব্যবধানে। অবিশ্বাস্য এই সাফল্য তাই যেমন স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তেমনি এই ফল ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। এখান থেকেই হয়তো শুরু হতে পারে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে আপন করে নেওয়ার পালা।
আমাদের জাতীয়ভাবে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠার উপলক্ষ তেমন একটা আসে না। মাঝে মধ্যে ক্রিকেট দল, কখনো নারী ফুটবল দল কিংবা নারী ক্রিকেট দল তাদের প্রতিপক্ষের ওপর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে আমাদের আনন্দিত-উজ্জীবিত করে থাকে। দেশে সমস্যার কোনো শেষ নেই। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে মানুষ জীবনযাপন করছে। পার করছে কঠিন ও দুর্বহ সময়। কিছুটা হতাশার ছাপ পড়েছে যাপিত জীবনে। এই রকম একটা অবস্থায়, আনন্দিত হওয়ার, আনন্দ উদযাপন করার কোনো সুযোগ এলে মানুষ তা লুফে নেয়। এতে এক ধরনের স্বস্তি পাওয়া যায়, প্রশান্তি অনুভব করা যায়। এই সময়ে এর মূল্য অনেক বেশি।
আমরা আশা করি, আমাদের ক্রীড়াবিদরা দেশের মানুষকে আনন্দিত ও উজ্জীবিত রাখার কাজটি নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে করে যাবে।
বাংলাদেশের অসাধারণ এই বিজয় একটা স্মরণযোগ্য ইতিহাস। এই ইতিহাসের যারা নির্মাতা এবং সহযোগী, আমরা তাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আবারও অভিনন্দন