নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি »
অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত রাঙামাটির নানিয়ারচরে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময়ে তিনি কক্সবাজারের বালুখালী থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত সংযোগ সড়কের উদ্বোধন করেন। ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নানিয়ারচরে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘতম এই সেতু নির্মাণের ফলে শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন আরও একধাপ এগোলো। এতে করে স্থানীয়দের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে ভূমিকা রাখবে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি (পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি) করেছিলাম। এখনো শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
সীমান্ত সড়ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের বালুখালী থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম পর্যন্ত সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ সড়কটি নির্মাণের ফলে স্থানীয়দের যাতায়াত ব্যবস্থা এবং সীমান্ত সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পার্বত্য এলাকায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণে সেনাবাহিনী কাজ করছে।
ভিডিও কনফারেন্সে নানিয়ারচর প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদুর রহমান, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমতাজ উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙামাটি সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফিন, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা, ইউএনও শিউলি রহমান তিন্নীসহ সেনাবাহিনী-প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।
প্রকল্পসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড অধীস্থ ২০ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) রাঙামাটির নানিয়ারচরে ‘চেঙ্গী সেতুটি’ নির্মাণ করে। চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটার ও প্রস্থ ১০ দশমিক ২ মিটার। এপ্রোচ সড়কসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় খরচ ২২৭ কোটি টাকা। তবে সেতুটির এখনো আনুষ্ঠানিক রাখা হয়নি। এছাড়া কক্সবাজারের বালুখালী থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম পর্যন্ত ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ সীমান্ত সংযোগ সড়কের প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৭৯ কোটি টাকা।
আরও একধাপ এগোলো শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন
সেতু উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী