সুপ্রভাত ডেস্ক »
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্য আসামিরা হলেন, হোটেল সারিনার চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবেরা সরোয়ার (নীনা) এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নকশা অনুমোদন শাখার বিল্ডিং ইন্সপেক্টর আওরঙ্গজেব নান্নু। সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে তা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কমিশন। অনুসন্ধানকালে তাদের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই করে দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম উভয়ে হোটেল সারিনার শেয়ার হোল্ডার ছিলেন। জব্দকৃত এবং সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে, অভিযুক্ত আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম যৌথভাবে তার ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ার এবং শ্যালিকা সাবেরা সরোয়ার নীনার সাথে হোটেল সারিনা ইন লিমিটেড নামক পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি গোপন করে গেছেন।
আরিফ সাদেক জানান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটি ডেভেলপ করার নামে ওই প্লটের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ২৫ নম্বর প্লট কিনে নিয়ে অনুমোদিত নকশা না মেনে উভয় প্লটে দুটি ২২তলা ও ২১তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। মামলার আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সেখানে পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেড পরিচালনা করে আসছেন। এতে নিজেরা লাভবান হওয়ার মাধ্যমে তারা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অপরাধ করায় দুদকের প্রধান কার্যালয়, ঢাকার উপপরিচালক সেলিনা আখতার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
এছাড়াও আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার ভায়রা আসামি গোলাম সরোয়ার ২৫ নম্বর প্লটটি, যা বসতি টাওয়ার নামে পরিচিত; সেটি যৌথ নামে কিনে রাজউকের অনুমোদিত ১৫তলা নকশার স্থলে ২১তলা ভবন নির্মাণ করেন বলেও মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পিতভাবে নানা কৌশলে প্রথমে নিজের ভায়রাকে দিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের (সিএসই) বর্ণিত ২৭ নং প্লটের ডেভেলপার নিযুক্ত করেন। পরে সেখানে তিনি নিজে তার স্ত্রীসহ যুক্ত হয়ে প্লটটি আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।