সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
যতই আগাম প্রত্যাশা তৈরি হয়ে থাক। যতই দিল্লি ক্যাপিটালস ভারতীয় বোর্ডের কাছে দাবি পেশ করুক। আসন্ন ওচখ-এ খুব সম্ভবত করোনা প্রতিষেধক ছাড়াই নামতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। তবে এর পাশাপাশি আসন্ন আইপিএলের আগে ভারত এবং ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের যে আলাদা করে কোয়ারেন্টাইন বা নিভৃতাবাসেও থাকতে হবে না, সে কথাও জানানো হয়েছে।
আগামী ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল। একটা আগাম প্রত্যাশা তৈরি হয়ে ছিল যে, আইপিএলের আগে ক্রিকেটারদের সবাইকে করোনা টিকা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা খুব সম্ভবত হচ্ছে না। দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বোর্ডের কাছে ক্রিকেটারদের করোনা টিকা দেওয়ার দাবি বেশ করা হয়েছে। বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সম্ভব যদি না-ও হয়, ভারতীয় ক্রিকেটারদের করোনা টিকা দেওয়া যায় কি না, সেই ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছে যে, বোর্ড নাকি জানিয়েছে যে তারা ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলছে। কিন্তু বোর্ডেরই আর এক সূত্র জানাচ্ছে যে, টিকার বন্দোবস্ত সম্ভব না-ও হতে পারে। কারণ, এই মুহূর্তে করোনা যোদ্ধা, ডাক্তার, প্রবীণদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। মনে করা হচ্ছে, যত দিন না দেশের সিংহভাগ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত যাবতীয় করোনা বিধি মেনে সাবধানেই চলতে হবে।
তবে বোর্ড একটা বিষয়ের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে। চলতি ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ শেষে ক্রিকেটারদের নিভৃতাবাসে কাটিয়ে আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকতে হবে না। দু’দেশের ক্রিকেটাররা সিরিজের জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে সরাসরি আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়তে পারবেন। কিন্তু বাদবাকিরা, যারা কিনা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ খেলছেন না, বিভিন্ন টিমের মালিক, অন্যান্য স্টাফরা- তাদের ক্ষেত্রে সাত দিনের নিভৃতাবাস বাধ্যতামূলক। বিদেশে যে সব আইপিএল ক্রিকেটাররা বর্তমানে দেশের হয়ে সিরিজ খেলছেন, তারা যদি চার্টার্ড ফ্লাইট করে আসেন, তা হলে তাদেরও নিভৃতাবাসে থেকে আইপিএলের জৈব বলয়ে ঢুকতে হবে না। যা কি না ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের কাছে নিঃসন্দেহে স্বস্তির ব্যাপার।
সব মিলিয়ে বারোটা জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি হচ্ছে আসন্ন আইপিএলকে মাথায় রেখে। আটটা জৈব সুরক্ষা বলয় হবে আট টিম ও তাদের সাপোর্ট স্টাফদের নিয়ে। দু’টো জৈব বলয় ম্যাচ অফিশিয়ালদের জন্য। আরও দু’টো জৈব বলয় ধারাভাষ্যকার ও টিভি কর্মীদের জন্য। দাঁড়ান আরও আছে। প্রতিটা টিমের সঙ্গে এবার থেকে চার জন নিরাপত্তকর্মী থাকবেন ‘বাবল ইন্টিগ্রিটি ম্যানেজার’ হিসেবে। যাদের কাজ হবে, জৈব সুরক্ষা বলয় বিধি ক্রিকেটাররা ঠিকটাক মানছেন কি না। জৈব সুরক্ষা বলয়ের বিধি কেউ ভাঙলে সঙ্গে সঙ্গে সেই নিরাপত্তাকর্মীরা বোর্ডের মেডিক্যাল টিমকে জানাবেন। গত বার থেকে চালু হওয়া ট্র্যাকিং চিপ এবারও থাকছে। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে প্রত্যেকে- যারা হোটেলে থাকবেন তাদের রিস্টব্যান্ড হিসেবে সেই ট্র্যাকিং চিপ পরিয়ে দেওয়া হবে। যাতে তাদের গতিবিধির উপর নজরদারি করা যায়। করোনা পরীক্ষার পর যদি কেউ করোনা পজিটিভ বেরোন, তা হলে সেই ব্যক্তি গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় কাদের সঙ্গে সংস্পর্শে এসেছেন, সেটা বার করে ফেলবে ওই চিপ।
খেলা