নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »
চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথে অর্ধশতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিং রয়েছে। ফলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। চট্টগ্রাম জানালিহাট স্টেশন থেকে শুরু করে দোহাজারী স্টেশন পর্যন্ত যেসব লেভেল ক্রসিং রয়েছে তা এক প্রকার অরক্ষিত।
গেটম্যানদের বিরুদ্ধে দায়িত্বপালনেও অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। এ রুটে বর্তমানে তেলবাহী ওয়াগন ছাড়াও যাত্রীবাহী ১ জোড়া ডেমু ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে থাকে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইন ১৯৩১ সালে নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ২০১০ সালে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প কাজ চলমান। চট্টগ্রাম-দোহাজারী পর্যন্ত যে সব লেভেল ক্রসিং রয়েছে তা দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। দোহাজারী স্টেশন, হাশিমপুর, খান হাট, কাঞ্চননগর, খরনা, চক্রশালা, পটিয়া, খানমোহনা, ধলঘাট, বেঙ্গুরা, গুমদন্ডী ছাড়াও চট্টগ্রাম জানালিহাট ও ষোলশহর স্টেশন এলাকায় দিন দিন বাড়ছে অবৈধ লেভেল ক্রসিং। এর মধ্যে চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ব্রিক ফিল্ড পয়েন্ট, কসাইপাড়া পয়েন্ট, আব্বাসপাড়া, রৌশন হাট ২টি পয়েন্ট, বিজিসি ট্রাস্ট এলাকা, পটিয়ার মুজাফরাবাদ, খরনা স্টেশন, ভাইয়ারদিঘী পয়েন্ট, বাহুলী, দক্ষিণ ভুর্ষি, ডেঙ্গাপাড়া ও বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখিলসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক পয়েন্টে অবৈধ লেভেল ক্রসিং রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহা সড়কের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শ্রীমাই এলাকায় প্রতিদিন শ্রীমাই খাল থেকে বালু উত্তোলন করে পিকআপসহ বিভিন্ন পরিবহনে রেলপথকে অবৈধভাবে ব্যবহার করছে। ফলে যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
কাঞ্চননগর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কাঞ্চন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রেলের চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে চন্দনাইশ এলাকায় ৫টি অনুমোদিত লেভেল ক্রসিং এর মধ্যে ৩টিতে গেটম্যান রয়েছে। যারা অবৈধভাবে রেলপথ ব্যবহার করে চলাচল পথ সৃষ্টি করেছে তাদের একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে।
পটিয়া রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার নেজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, লেভেল ক্রসিং অবৈধভাবে যারা ব্যবহার করছে তাদের বিষয়ে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।