বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় তখনই সার্থক হবে, যখন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো যাবে। সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি পেলে স্বাধীনতা আরও অর্থবহ হবে। এ অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি শুক্রবার বিকালে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পরিষদের বিজয় মঞ্চের স্মৃতিচরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আজ যাদের সংবর্ধনা দিল, তাঁরা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাঁরা হয়তো একদিন হারিয়ে যাবেন। কিন্তু তাঁদের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দেশপ্রেম ও সাহস যোগাবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ভারতীয় দূতাবাস চট্টগ্রামের সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, বিজয় মেলা পরিষদের অর্থসচিব পান্টু লাল সাহা এবং চট্টগ্রামের বিভাগীয় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট আফিসের পরিচালক মো. আবু সাইদ।
বিশেষ অতিথি ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন বলেন, এদেশের দামাল ছেলেরা (মুক্তিযোদ্ধারা) যুদ্ধের বিনিময়ে বিজয় অর্জন করেছে। এ শক্তিকে কেউ অবদমিত করতে পারবে না। আপনাদের সামনে অপার সম্ভাবনা, যে কোন মূল্যে এই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এই হোক দৃঢ প্রত্যয়।
সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে, করোনাকালের সংকট মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক এবং বৈশি^ক যোগাযোগের সেতুবন্ধন, অঞ্চলগত অপার সম্ভাবনাময় এই অঞ্চল। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা স্থাপন করে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম সারা দেশকে নেতৃত্ব দেবে।
বিজয় মেলা মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন আচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আমিন, গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মাহবুব উল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল ভুঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌরেন্দ্র নাথ সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ এমরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল আহমদ, গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক আহমদসহ ১৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয় মঞ্চে মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পি ফকির সাহাবুদ্দিন।
এছাড়া শুক্রবার সকাল ১০টায় বিজয় মেলা পরিষদ আয়োজিত বিজয়র্যলি শিখা প্রজ্জ্বলনের পাদদেশ হতে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় মেঞ্চ শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি