সুপ্রভাত ডেস্ক »
রাজধানীর মিরপুরে শুটিং স্পটে দগ্ধ ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখির (২৭) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শ্বাসনালিসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তার।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন আঁখি। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে দগ্ধ হওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায়ই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘শ্বাসনালিসহ তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তার চিকিৎসা করছি।’
হাসপাতালে শারমিন আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির জানান, তারা পল্লবী স্যান্ড হাউজিংয়ে থাকেন। শনিবার সকালে তিনি নিজেই শারমিনকে মিরপুর-১১, কালশি রোড অ্যাপেক্স শোরুমের পাশের একটি শুটিং স্পটে নামিয়ে দিয়ে তার কাজে চলে যান। এরপর দুপুরে শারমিনের দগ্ধ হওয়ার খবর পান। পরে তাকে সেখান থেকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে সন্ধ্যায় তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। তার দুই হাতের সম্পূর্ণ এবং দুই পা, মুখম-ল ও মাথার একপাশ দগ্ধ হয়েছে।
শারমিনের বরাত দিয়ে তিনি জানান, দুপুর শারমিন মেকআপ রুমে ঢুকেন। মেকআপ রুমের ভিতরেই টয়লেট। সেখানে হেয়ার ড্রাই দিয়ে চুল ঠিক করার পর ফ্লাগ খুলতেই একটি স্পার্ক হয়। এরপরই বিস্ফোরণ হয়। তার ধারণা, ঘটনার আগে মেকআপ রুমে কেউ বডি স্প্রে ব্যবহার করতে পারে। যা সেখানকার বাতাসে ছিল। এর কারণেও বিস্ফোরণের সূত্রপাত হতে পারে। এছাড়া শুটিং হাউজটি সম্পূর্ণ নতুন এবং সবেমাত্র রঙ করা। সেখানে রঙের প্রচুর গন্ধও ছিল। খবর সারাবাংলা।
মেকআপ রুমে তিনি ধুমপান করছিলেন কি না?— এমন প্রশ্নের জবাবে রাহাত জানান, তার জানামতে শারমিন ধূমপান করে না।
এদিকে পল্লবী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘বাথরুমে সিগারেট ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এতে শারমিন আঁখি দগ্ধ হয়েছেন। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখছি।’
নোয়াখালির সোনাইমুড়ি উপজেলার মো. শাহবুদ্দিন মেয়ে শারমিন। ৩-৪ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে। তার স্বামীর বাড়ি চট্টগ্রাম আকবর শাহ।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন শারমিন আঁখি। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা আঁখি’র মঞ্চে যাত্রা শুরু ‘অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়’র মধ্য দিয়ে। এই দলের নিয়মিত প্রযোজনা তারাসংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ নাটকের মূল চরিত্র ‘বসন’ করেই আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে টিভি নাটকে কাজ করেও আলোচনায় আসেন তিনি।