পরিদর্শনকালে চসিক প্রশাসক
সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মানুষ ও যানবাহন চলাচলের পথে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না। এসব অবৈধ স্থাপনা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজ নিজ উদ্যোগে সরিয়ে ফেলা না হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। দামপাড়া স্টোর থেকে আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ দেওয়ানহাট ডিটি রোড, দক্ষিণ পাহাড়তলী জোড় ঢেবা হয়ে সাগরিকা মোড় পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
তিনি আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের জায়গাটিকে জঞ্জালমুক্ত করে সেখানে অকেজো ও পরিত্যক্ত যানবাহনের ডাম্পিং সেন্টারে পরিণত করার এবং অকেজো যানবাহনগুলো নিলামে বিক্রির নির্দেশ দেন। জাম্বুরি মাঠ ও কর্ণফুলী শিশুপার্কের আশেপাশে সকল অবৈধ স্থাপনা এবং ফুটপাতের উপর দোকান-পাটের বর্ধিত অংশ উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন। শিশু পার্কের ভেতরে লেক সিটি রেস্টুরেন্টকে কমিউনিটি সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করে বিয়েসহ কোন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে ঘোষণা দেন।
চসিক প্রশাসক শিশু পার্কের ভেতরে চলাচলের পথ ভাঙা ও যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সেখানে স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় সৌন্দর্য্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন পার্ক বন্ধ রেখে বেলা দু’টার পর পার্ক খোলার এবং পার্কের আশেপাশে গড়ে উঠা অবৈধ দোকান-পাঠ ও স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। অন্যথায় ইজারা বাতিল করা হবে বলে সর্তক করেন। তিনি পার্কটিকে নান্দনিক ছোঁয়ায় শিশুদের মনন বিকাশের উপযোগী করে গড়ার নির্দেশনা দেন। দক্ষিণ পাহাড়তলী জোড় ঢেবা পাড় সংলগ্ন চারপাশ এলাকা দখলদারমুক্ত ও মাদক কেনা-বেচার আখড়া উচ্ছেদ করে সেখানে নান্দনিক বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান চসিক প্রশাসক।
তিনি দক্ষিণ পাহাড়াতলীবাসীকে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের সন্তানরা যাতে বিপথগামী না হয় সেজন্য অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
এরপর তিনি দেওয়ানহাট থেকে সাগরিকা পর্যন্ত ডিটি রোডের খানা-খন্দের ভরাট সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রকৌশলীরা চসিক প্রশাসককে অবগত করেন যে বৃষ্টি বাদ না সাধলে কয়েকদিনের মধ্যে সড়কটি ৪ ইঞ্চি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। তিনি প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারদেরকে কাজের গুণগত মান যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
তিনি সড়কের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা, বিশেষ করে রড-সিমেন্ট, ফার্নিচার-ওয়ার্কসপসহ নানা দোকানপাটের সামগ্রী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব স্থাপনা দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।
এরপর চসিক প্রশাসক সাগরিকা থেকে একেখান মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের ফুটপাত অবৈধ দখল থাকতে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি দখলদারদের এসব ফুটপাত দখল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ উদ্যোগে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান, অন্যথা সিটি করপোরেশন পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব অবৈধ দোকান এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করবে বলে ঘোষণা দেন।
এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মো. আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, আনোয়ার হোসেন, আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি