‘সরকারের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতার কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিধ্বস্ত। অপরিকল্পিত লকডাউনে কারণে সব খোলা, আবার সব বন্ধ, এভাবে শাটডাউন হয় না। লকডাউন সফল করতে হলে সারা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে কার্যকারী রোড ম্যাপ তৈরি করতে হবে। করোনা রোগীর আক্রান্তের হার বিবেচনায় এলাকা ভিত্তিক রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন জোনে ভাগ করে স্ব স্ব এলাকাভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় নগর বিএনপির এর উদ্যোগে এবং ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় হটলাইন ও চিকিৎসাসেবা এবং জরুরি অক্সিজেন, ওষুধ সরবরাহসেবা উদ্বোধন কালে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারীর এ মহাসংকট মোকাবিলার জন্য দলের পক্ষ থেকে যে পাঁচটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে আজকে দেশের বড় বড় সরকারি হাসপাতালগুলোর বেহাল অবস্থা। পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং হাই ফ্লু অক্সিজেন না থাকার কারণে করোনা রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই সেবা চালু করেছি। এই হটলাইন সেবার মাধ্যমে নগরবাসী জরুরি চিকিৎসা সেবা পাবে এবং জরুরি অক্সিজেন সিলিন্ডার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া ও সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, করোনা কাল শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এবারও করোনার মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দেশের দুর্যোগ মুহূর্তে বিএনপি জনগণের পাশে ছিল। এখনো আছে, আগামীতেও যে কোন দুর্যোগে জনগণের সাথে থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ আজিজ, জাহিদুল করিম কচি, অধ্যাপক ডা. তমিজউদ্দিন আহমেদ মানিক, কামরুল ইসলাম, মনজুর রহমান চৌধুরী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ডা. মো. মিনহাজ উল আলম, ডা. মো. মেহেদী হাসান ইমন, বিএনপি নেতা আনিসুল হক, আসাদুর রহমান টিপু, আলাউদ্দিন আলো, আমিনুল ইসলাম মামুন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি