Blog Page 8

রাজধানীতে র‍্যাব পরিচয়ে কোটি টাকা ছিনতাই

সুপ্রভাত ডেস্ক »

রাজধানীর উত্তরায় অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে র‌্যাব পরিচয়ে নগদ এজেন্টের কাছ থেকে ১ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নং রোডে এ টাকা ছিনতাই করে র‍্যাব পরিচয়ে পোষাক পরিহিত ছিনতাইকারীরা।

ঘটনার ভুক্তভোগী ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শিদের বরাতে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ বলছে, র‍্যাবের পোষাক পরিহিত ও পরিচয়ে কালো মাইক্রোবাসে করে এসে আকস্মিকভাবে দুটি মোটরসাইকেলের চারজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। যারা নগদ এজেন্টের নিকটস্থ বাসা থেকে ওই টাকা বহন করে নগদ ডিস্ট্রিবিউটর কার্যালয়ে আনছিলেন।

তাদের মধ্যে তিনজনকে ওই মোটা অঙ্কের টাকাসহ জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে করে উঠিয়ে নেওয়া হয়। ছিনতাইকারীরা টাকাগুলো রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা প্রতিনিধিদের উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে ও প্রকৃত ঘটনার অনুসন্ধানে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের নাম্বার ও সিসিটিভি ফুটে সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের না হলেও জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টার পাশাপাশি নগদ এজেন্টের ওই টাকা বহনকারীর চার প্রতিনিধিকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

ডিএমপি’র উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, নগদের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়নের বাসা উত্তরা-১৩ সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৩৭ বাসার তিন তলায় বসবাস করেন। সেখান থেকে হেঁটে পাঁচ মিনিট দূরত্বেই নগদের ডিস্ট্রিবউটিং অফিস। নয়নের বাসায় ছিল টাকাগুলো।

সেখান থেকে আজ শনিবার (১৪ জুন) নগদের ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের  চারজন মোটরসাইকেলযোগে ওই টাকাটা আনছিলেন। মোড়েই একটি হায়েস গাড়ি নিয়ে ওঁত পেতে ছিল ছিনতাইকারীরা। র‍্যাব সদস্য পরিচয়ে ও র‍্যাবের কটি পরিহিত কয়েকজন তাদেরকে অস্ত্রের মুখে আটকায়। চারজনের মধ্যে কাউসার, লিয়াকত ও আব্দুর রহমান নামে তিনজনকে পিস্তল দেখিয়ে জিম্মি করে টাকার ব্যাগসহ হায়েস গাড়িতে ওঠানো হয়। বাকিজন ওমর হোসেন লাখের বেশি টাকার আরেকটি ব্যাগসহ দৌড়ে পালাতে সক্ষম হয়। এরপর ছিনতাইকারীরা নগদের প্রতিনিধিদের উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে ফেলে রেখে চলে যায়।

ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষ চারজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ছিনতাই হওয়া টাকার পরিমাণ সম্পর্কে তারা জানিয়েছেন, দুটি মোটরসাইকেলে করে টাকা আনা হচ্ছিল। এক মোটরসাইকেলে ছিল ১ কোটি ৮ লাখ ৪২ হাজার। ওমর হোসেন জানিয়েছেন, যে তিনি যে ব্যাগ নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন তাতে এক লাখের কিছু বেশি টাকা ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত তিনজন জানিয়েছেন, তাদের চড় থাপ্পর  মারা হয়েছে। কিন্তু কেনো নগদের ডিস্ট্রিবিউটর নয়নের বাসায় টাকাগুলো রাখা হয়েছিল? বন্ধের দিনে এতো সকালে এতোগুলা টাকা কেনো বাসা থেকে অফিসে নেয়া হচ্ছিল। তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে আলাদাভাবে টাকা বহন করা হচ্ছিল জানালেও একটি মোটরসাইকেলে ছিল ১ কোটি ৮ লাখ টাকা সেটাই টার্গেট করাটা সন্দেহজনক।

ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় ভেতরেই ইনফর্মার থাকে। আমরা এখনো জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে ক্লু পেতে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

ডিসি আরও জানান, নগদের ওই ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের পার্টনার দুইজন। একজন আব্দুল খালেক নয়ন। টাকাটা তারা বাসায় রাখা ছিল। আরেক পার্টনার তারিকুজ্জামান। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে এখনো ঢাকা ফেরেননি। আমরা নয়নকে থানায় ডেকেছি। আরও বিস্তারিত  জানার চেষ্টা করছি। তারা কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা! আমরাও আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তায় জড়িত ছিনতাইকারীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছি।

বান্দরবানে পর্যটক নিহত : ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেপ্তার

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বান্দরবানের আলীকদমে পর্যটক নিহতের ঘটনায় অনলাইন ট্রাভেল গ্রুপ ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১১টার পর আলীকদম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুপার জিনিয়া চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি পুলিশ হেফজতে ছিলেন। নিহত পর্যটক স্মৃতি আকতারের বাবা বেলা ১১টার দিকে মামলা করলে বর্ষাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

অভিযুক্ত বর্ষা ইসলাম বৃষ্টি (৩২) যশোরের বরিউল ইসলামের মেয়ে হলেও বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১১ জুন) ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষার নেতৃত্বে ৩৩ পর্যটকের একটি দল আলীকদম যান। এই দলের কো-হোস্ট ছিলেন হাসান নামের একজন এবং স্থানীয় গাইড ছিলেন সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আলীকদম উপজেলার ক্রিসতং পাহাড় ও থানচির লিমান লিবলু এবং সাকাহাফং চূড়া জয় করা। পরে পর্যটক দলটি ২২ ও ১১ জনের দুটি দলে বিভক্ত হয়। যাত্রা পথে ২২ জনের দলটি তৈন খাল পারাপার হওয়ার সময় ১৯ জন নিরাপদে পার হলেও স্রোতের তোড়ে কো-হোস্ট হাসানসহ তিনজন তৈনখাল পার হতে পারেননি। এই তিনজনের একজন শেখ জুবাইরুল ইসলাম, যার মরদেহ বৃহস্পতিবার ভোরে আলীকদমের কানাই মাঝির ঘাটে পাওয়া যায়। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় আলীকদমের তৈন খালের আমতলী ঘাট এলাকা থেকে স্মৃতি আকতারের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও হাসানের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় আজ সকালে দায়িত্বহীনতার অভিযোগে নিহত স্মৃতি আক্তারের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি ও মানবাধিকার নিশ্চিতসহ ৩ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি: আইন উপদেষ্টা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

দ্রুত সময়ের মধ্যে কম খরচে মামলা নিষ্পত্তি, মানবাধিকার নিশ্চিত ও মানুষকে মামলার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এজন্য সিপিসি এবং সিআরপিসি অধ্যাদেশ নিয়েও কাজ চলছে।

শনিবার (১৪ জুন) আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজনের সাথে আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশে বছরে ৫ লাখ মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে লিগ্যাল এইডে ৩৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়। এই হার ২ লাখে নিয়ে যাওয়ার নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। এতে মামলার সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমবে।

এ সময় লিগ্যাল এইডের মামলা নিষ্পত্তিতে একজন বিচারের জায়গায় ৩ জন বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরে আদালতের মুখোমুখি হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ওঠায় তাকে দেশে ফিরে আদালতের মুখোমুখি হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লন্ডন সফরের সময় ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে নয় আদালতে যেকোনো অভিযোগ মোকাবেলা করা উচিত। সাক্ষাতের জন্য টিউলিপ সিদ্দিকের পাঠানো চিঠি আমি নিজেই প্রত্যাখ্যান করেছি।

টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অবৈধভাবে জমি গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বেআইনিভাবে ঢাকার গুলশানে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, এটি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’।

জুলাই সনদ নিয়ে ১৭ জুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছে কমিশন

সুপ্রভাত ডেস্ক »

আলোচিত জুলাই সনদ ঘোষণার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসছে। আগামী ১৭ জুন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ডাকে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অধিবেশনের দ্বিতীয় বা শেষ বৈঠক।

সূত্র মতে, জাতীয় ঐক্য কমিশনের এই বৈঠকে জুলাই ঐক্য ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। এই আলোচনায় কোন কোন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত আর কোন কোন বিষয়গুলোতে একমত না বা আংশিকভাবে একমত তা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, আগামী সপ্তাহে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক হবে। বৈঠকে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদ নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের কাজ একটা ঐকমত্যে পৌঁছানো।

কতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ৩০টির মতো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হবে। যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা শেষ করবো।

সূত্র মতে, এই ঘোষণাপত্রকে জুলাই চার্টার নামে বা ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ নামেও অভিহিত করা হতে পারে। জাতীয় ঐক্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সব দলের মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোতে দলগুলোর সম্মতি স্বাক্ষরও নিতে চান। যাতে এগুলো মৌলিক ও অপরিবর্তনীয় সংস্কার হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো আর পরিবর্তন করতে না পারে।

সূত্র আরও জানায়, নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দলকে এবারের অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী রোব বা সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি, মেসেজ বা ফোন কলে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

আগামীকাল খুলছে অফিস-আদালত

ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটির পর আগামীকাল রোববার (১৫ জুন) থেকে খুলছে অফিস-আদালত। ১০ দিনের টানা ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন দেশের নানা প্রান্তে ছুটিতে যাওয়া লাখো কর্মজীবী মানুষ। রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল এবং বাসস্ট্যান্ডে ফিরতি যাত্রার চেনা চিত্র এখন স্পষ্ট।

সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনে যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় ছিল। প্রতিটি ট্রেনই যাত্রীতে ঠাসা। কেউ এসেছে সপরিবার, কেউ একা।

তবে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঈদে ছুটি না পাওয়ায় অনেককে আজও ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। তাদের সংখ্যাও কম নয়। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনই ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ।

এদিকে, ভোর থেকে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এর ফলে সদরঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাঁতিবাজার মোড় থেকে লঞ্চ টার্মিনাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে আটকে আছে অসংখ্য যানবাহন। প্রতিটি গাড়িতে যাত্রীতে ঠাসা। লঞ্চ থেকে নেমে বাসে উঠতে না পেরে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।

দ্য গার্ডিয়ানে সাক্ষৎকার : সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ -প্রধান উপদেষ্টা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মতে, যে রাজনৈতিক উত্থান দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পতন ঘটিয়েছিল, তার এক বছর পরেও মানুষ সরকারকে শত্রু হিসেবেই দেখে। তিনি বলেন, গ্রাম থেকে সরকার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি নির্মূল করাই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে মানুষ একটি ‘নতুন বাংলাদেশে’ বিশ্বাস করতে পারবে।

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন যে তিনি চান রাষ্ট্র নাগরিকদের জন্য আরও কিছু করুক যারা অনুভব করেছেন যে সরকার তাদের সামান্যই দিচ্ছে।

তার মতে, ব্যাপক দুর্নীতি সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি সদস্যরা অর্থ আত্মসাৎ করছে এবং পাসপোর্ট তৈরি থেকে শুরু করে ব্যবসার অনুমতি পাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে ঘুষ দাবি করা হচ্ছে।

ইউনূস আরও বলেন, ‘কেউ না কেউ সবসময় বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষ সরকারকে তাদের স্থায়ী শত্রু হিসেবে দেখে এবং এই শত্রুর সাথে লড়াই করেই তাদের জীবন কাটাতে হয়। এটি একটি খুব শক্তিশালী শত্রু, তাই মানুষ এর থেকে দূরে থাকতে চায়।’

যদিও এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ থেকে, যা তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মিত্রদের সুবিধা দিচ্ছিল। তবে এর পাশাপাশি উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় এবং তরুণদের জন্য সুযোগের অভাব নিয়েও অসন্তোষ ছিল।

হাসিনা ক্রমবর্ধমানভাবে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছিলেন, বিরোধী দল এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছিলেন। অন্যদিকে, ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভেঙে পড়ার কারণ হিসেবে অভিজাত শ্রেণীর দুর্নীতিকে দায়ী করা হয়েছে।

২০২৪ সালের গ্রীষ্মে সংঘটিত বিক্ষোভগুলো একটি বিষাক্ত, সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনবে বলে অনেকে আশা করেছিলেন। এই ব্যবস্থাটি দুটি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী—আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)—কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে।

‘আমাদের শুরুর অবস্থা ছিল এক বিধ্বস্ত অর্থনীতি, এক বিধ্বস্ত সমাজ। প্রশাসন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল,’ বলেন ইউনূস। ‘আমরা বিল পরিশোধ করতে পারব কিনা, সেটাও জানতাম না। বিপুল পরিমাণ আর্থিক সম্পদ এমনভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছিল যেন সেগুলো কারো সম্পত্তিই ছিল না – কেবল নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ব্যাংকগুলো ঋণ দিত, ভালোভাবেই জানত যে এগুলো আসলে ঋণ নয়, কেবল উপহার (যা ফেরত দেওয়া হয়নি)।’

অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত একাধিক সংস্কার কমিশন জানুয়ারিতে নির্বাচন, দুর্নীতি এবং জনকল্যাণ সম্পর্কিত সুপারিশ পেশ করে। ইউনূস এখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই সংস্কারগুলো নিয়ে একটি ঐক্যমত তৈরির দিকে মনোনিবেশ করছেন। তিনি চান যে ‘জুলাই সনদ’ আগামী মাসে অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীর আগেই চূড়ান্ত করা হোক, যাতে তারা এপ্রিলের নির্বাচনের আগে সেগুলোর বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিতে পারে।

‘এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল হবে, যা সকল মানুষকে একত্রিত করবে। কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো মৌলিক সুপারিশ, হালকা কিছু নয়, শুধু একটু ভালো করা, বা এটা-ওটা করা নয় – একদমই না,’ তিনি বলেন। ‘তারপর আমাদের কাজ হলো এগুলো বাস্তবায়ন করা এবং দেশকে একটি সুস্থ, কার্যক্ষম ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা।’

‘এরপর আমরা খুশি হতে পারব যে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করার মতো একটি পরিস্থিতিতে আছি।’

তবে ইউনূস স্বীকার করেছেন যে, এই চুক্তি সহজ হবে না।

বিএনপি, যা এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দল এবং নির্বাচনে জয়ের স্পষ্ট দাবিদার, তারা দ্রুত নির্বাচনের তারিখের জন্য চাপ দিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রস্তাবিত দুই মেয়াদের সীমাবদ্ধতার বিরোধিতা করেছে।

তবে ইউনূস বলেছেন যে, বিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্যে ঐকমত্যের পূর্ব নজির খুব কম থাকা সত্ত্বেও, দলগুলো যেভাবে এখন পর্যন্ত একে অপরের সাথে কাজ করেছে তাতে তিনি উৎসাহিত।

ইউনূস রাষ্ট্রের কার্যকারিতা এবং জনগণকে সেবা প্রদানের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে চান। উদাহরণস্বরূপ, তিনি স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়ে অলাভজনক সামাজিক উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে চান এবং তার উদ্ভাবিত ক্ষুদ্রঋণ মডেলের প্রসার ঘটাতে চান।

বর্তমানে, ক্ষুদ্রঋণ খাত এনজিওদের দ্বারা প্রভাবিত, যারা দরিদ্র মানুষকে ব্যবসা শুরু করার জন্য ছোট ঋণ সরবরাহ করে। ইউনূস এই ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে চান বিশেষায়িত ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক তৈরি করে।

তিনি বলেন, এটি উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করবে, কারণ মানুষকে প্রচলিত ব্যাংকগুলির উপর নির্ভর করতে হবে না, যেগুলি প্রায়শই দরিদ্র মানুষকে ঋণ দিতে অস্বীকার করে।

ইউনূসের মতে, আংশিকভাবে কিছু ঋণদাতার উচ্চ সুদের হার চাপানোর কারণে ক্ষুদ্রঋণ একটি খারাপ খ্যাতি অর্জন করেছে। তবে তিনি বলেন যে, এই মডেলটি বিশ্বব্যাপী রপ্তানি ও অনুকরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মানুষ মনে করে এটি দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে, কিন্তু এটি তা করে না। তাই এটিকে একটি খারাপ নাম দেওয়া হয়েছে এবং তারপর লোকেরা বলেছে, ‘ওহ, আপনাকে এটি উন্নত করতে হবে।’ আপনাকে এটি উন্নত করতে হবে না… ক্ষুদ্রঋণে কোনো ভুল নেই।‘

ড. ইউনূস মূলধারার ব্যাংকিং ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন, কারণ সম্পদহীন দরিদ্র মানুষ প্রায়শই এই ব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারে না। উপরন্তু, গত বছর হাসিনার মিত্রদের নেওয়া বড় অঙ্কের ঋণ পরিশোধ না হওয়ায় এই ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এর ফলে অনেক সময় নাগরিকরা তাদের টাকা তুলতে পারেননি।

মাত্র এক বছর আগেও, ইউনূস প্রকাশ্যে হাসিনা কর্তৃক নিন্দিত হয়েছিলেন, এরপর হঠাৎ করেই তিনি সরকারে যোগ দেন। তিনি বলেছেন যে এপ্রিলের নির্বাচনের পর সরকারে থাকার তার কোনো পরিকল্পনা নেই, তবে ততদিন পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপ সামলানো এবং সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেবেন।

ইউনূস বলেন, ‘আগে আমি আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের দ্বারা সমালোচিত হতাম, এখন সবাই আমাকে সমালোচনা করে – এটা একটা উন্মুক্ত খেলা। আপনি যদি এই পদে থাকেন তবে এটাই জীবনের অংশ, মানুষের নিজস্ব মতামত থাকবেই। আপনাকে এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং এটি মেনে নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এপ্রিলে আমাদের একটি নির্বাচিত সরকার থাকবে এবং তারপর আমরা চলে যাব।’

রাইফেল আর ভারী অস্ত্র কাদের কাছে থাকবে জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মাঠ পর্যায়ের পুলিশের কাছে রাইফেলের মতো অস্ত্র থাকবে। আর এপিবিএনের মতো বিশেষায়িত ইউনিটের কাছে ভারী অস্ত্র থাকবে।

শনিবার (১৪ জুন) সকালে রাজধানীতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন এর হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাঠ পর্যায়ের পুলিশের কাছে রাইফেলের মতো অস্ত্র থাকবে, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে না। এপিবিএন, থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। অন্তর্বতী সরকারের ১১ মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে বলেও দাবি করে তিনি।

এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, দু-একটি ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া এবারের ঈদ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করেছেন দেশবাসী।

যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চার দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা।

সফরে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের স্পিকার ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস তার হাতে তুলে দেন ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘কিংস চার্লস হারমনি’ অ্যাওয়ার্ড।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও গতকাল বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা, নির্বাচনের সময় নিয়ে জটিলতা এবং সরকার ও অন্যান্য দলের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যেই হলো এই বৈঠক, যার ওপর গোটা দেশের মানুষের নজর ছিল।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জেনারেল হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

২০২০ সালে করোনা মহামারির শুরুতে চট্টগ্রামে আইসিইউ শয্যার অভাবে অনেক রোগী সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান। এরপর প্রয়োজনের তাগিদে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে বিশেষায়িত করোনা চিকিৎসার জন্য ১০টি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়। পরে সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮টি করা হয়। এরপর দু বছরেরও অধিক সময় ধরে মহামারী মোকাবেলায় এই হাসপাতালটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরে এই হাসপাতালের ওপর রোগীদের আস্থাও বৃদ্ধি পায়।
বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও করোনার প্রকোপ বাড়ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো এরই মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অবস্থা পূর্বের ন্যায় হয়ে পড়েছে। পত্রিকার খবর অনুযায়ী, হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ১৮টি শয্যার মধ্যে কেবল ১টি আইসিইউ শয্যার ভেন্টিলেটর সচল রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগ শয্যা ও যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে আটটি শয্যায় রোগী ভর্তি করা গেলেও ভেন্টিলেটর সচল রয়েছে মাত্র একটিতে। সেটিও মাঝেমধ্যে বিকল হয়ে পড়ে। অন্যগুলোর সঙ্গে কেবল অক্সিজেন সংযোগ থাকলেও জীবন রক্ষাকারী পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মেরামতযোগ্য ভেন্টিলেটর ও যন্ত্রপাতির বিষয়ে অনেক আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এত দিন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন সংক্রমণ বাড়ার পর পাঁচটি শয্যা সচল করার চেষ্টা চলছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকরাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আইসিইউ শয্যাগুলো পরিদর্শন করে দেখা হচ্ছে কোনগুলো সচল করা যায়। মেরামতের জন্য অধিদপ্তর থেকে লোক আসবেন। পাশাপাশি আইসিইউ চালাতে নতুন করে জনবল প্রয়োজন। কারণ, আগের অনেকে এখন নেই।
করোনা চিকিৎসায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহ। ২০২০ সালে এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা হয়, যা এখনো সচল রয়েছে। তবে হাইড্রো নজেল ক্যানুলা ও অন্যান্য সরঞ্জাম নতুন করে লাগতে পারে।
এখন সবচেয়ে বড় সংকট জনবল। ২০২০ সালে করোনা ইউনিটের জন্য যে ২২ জন চিকিৎসক সংযুক্তি পেয়েছিলেন, তাঁদের সবাইকে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে বদলি করা হয়। এরপর আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের সংখ্যা থাকার কথা ১৭৭জন (২০২৪ সালের কাঠামো অনুযায়ী)। কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ৪২ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা কর্মকর্তার পদ ২০টি।
জেনারেল হাসপাতালটি কভিড ডেডিকেটেড করা হয়েছিল। এখন আবার সেভাবেই হাসপাতালটিকে সক্ষম করে তোলা দরকার। সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা একটি বড় ব্যাধি। এটি দূর করে চিকিৎসাকেন্দ্রকে সময়োপযোগী করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে।

এ মুহূর্তের সংবাদ

বান্দরবানের পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা যথেষ্ট নয়

সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠায় গেজেট প্রকাশ

ট্রাম্পের হুমকির পর খামেনির বার্তা, ‘যুদ্ধ শুরু হলো’

সর্বশেষ

বান্দরবানের পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা যথেষ্ট নয়

চট্টগ্রাম বন্দরের মুনাফায় বিদেশিদের চোখ

সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠায় গেজেট প্রকাশ

ট্রাম্পের হুমকির পর খামেনির বার্তা, ‘যুদ্ধ শুরু হলো’