Blog Page 2722

বল-বিকৃতি বৈধ করতে বললেন ইয়ান চ্যাপেল

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের জেরে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে থুতু ও ঘাম দিয়ে বল পালিশের প্রক্রিয়া। যে কারণে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বোলাররা বলের এক দিকে পালিশ ঠিক রেখে সুইং করাবেন কী করে? অনেকেই অনেক রাস্তার কথা বলেছেন। কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্নের পরামর্শ, ‘বলের ওজন এক দিকে বাড়িয়ে দেওয়া হোক।’ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল মনে করেন, এই সমস্যার সমাধান করতে বল-বিকৃতিকে বৈধ ঘোষণা করা উচিত আইসিসি’র।

এর আগে শোনা গিয়েছিল, আইসিসিও বল-বিকৃতি করার ব্যাপারে ছাড় দিতে পারে। চ্যাপেল একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তার কলামে লিখেছেন, ‘এখন ক্রিকেট বন্ধ। তাই এটাই হল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আদর্শ সময়। থুতু বা ঘাম দিয়ে বল পালিশ করাটা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক হবে। তাই বোলারদের অন্য ভাবে বলের পালিশ ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।’ এর আগে চ্যাপেল সুপারিশ করেছিলেন, অধিনায়কদের থেকে জানতে চাওয়া হোক বোলাররা কী ব্যবহার করে বলের পালিশ ঠিক রাখতে চায়।

খবর আনন্দবাজার’র।

এবার ফিক্সিংয়ের দায়ে ৬ বছর নির্বাসিত আফগান ক্রিকেটার

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় বারবার কলঙ্কিত হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট। এবার কালিমালিপ্ত আফগানিস্তান। গড়াপেটার অপরাধে ছ’বছরের জন্য সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হল আফগান ব্যাটসম্যান শফিকুল্লা শাফককে। রোববারই নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে আফগান ক্রিকেট বোর্ড জানায়, ৩০ বছরের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান একাধিকবার ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন কিংবা গড়াপেটার চেষ্টা করেছেন। ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী মরশুমে এবং পরের বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে নাম জড়ায় শাফকের। বিজ্ঞপ্তিতে আফগান বোর্ড তাই জানায়, জেন্টলম্যান্স গেমকে কলঙ্কিত করেছেন তিনি। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটকেও প্রভাবিত করা চেষ্টা করেছেন। দুর্নীতিদমন আইন ভঙ্গ করার শাস্তিস্বরূপই তাকে নির্বাসিত করা হল।

গড়াপেটায় জড়িয়ে এর আগে বিশ্বখ্যাত একাধিক ক্রিকেটারের কেরিয়ার নষ্ট হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়াত তারকা হ্যান্সি ক্রোনিয়ে থেকে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন, পাক তারকা সেলিম মালিককে আজীবন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকে এতদিন আগফানিস্তানের ক্রিকেটে গড়াপেটার কালো দাগ লাগেনি। এবার শাফকের জন্য মাথা হেঁট হল সে দেশের বোর্ডের। এসিবির দুর্নীতিদমন শাখার ম্যানেজার সৈয়দ আনওয়ার শাহ কুরেশি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ। জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্নীতির প্রবেশ করিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০১৯ বিপিএলে এই গড়াপেটার কাজে এক সতীর্থকেও সঙ্গী করতে চেয়েছিলেন শাফক।’

তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেছেন দেশের হয়ে ৪৬টি টি-টোয়েন্টি খেলা তারকা শাফক। সেই সঙ্গে উঠতি ক্রিকেটাররা যাতে তার মতো অপরাধে না জড়ান, সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের সঙ্গেও যুক্ত হতে রাজি হয়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে এসিবি।

খবর সংবাদপ্রতিদিন’র।

ডট বলের পর বোলারকে গালি দেন বিরাট!

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

বাইশ গজে তার আগ্রাসনই বিরাটকে ক্রিকেট মানচিত্রে আলাদা জায়গা করে দিয়েছে। ক্রিস গেইল, রোহিত শর্মার মতো তার সমসাময়িক ব্যাটিং গ্রেটদের থেকে ঠিক কোথায় আলাদা বিরাট। উত্তরে বাংলাদেশ পেসার আল আমিন হোসেন জানালেন, প্রত্যেকটা ডট বলের পর বোলারকে স্লেজিং করে বিরাট। যার ফলে পালটা চাপে পড়ে যায় বোলাররা।

বাংলাদেশের এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের সঙ্গে ফেসবুক আড্ডায় আল আমিন বলেন, ‘তুমি বিরাট কোহলিকে যতবার ডট বল করবে ও তোমায় ততবার স্লেজিং করবে। ও এমন কিছু খারাপ শব্দ ব্যবহার করে যা আমি দর্শকদের সামনে বলতে পারব না। ও বোলারের উপর পাল্টা চাপ তৈরির চেষ্টায় থাকে। মনোসংযোগে ব্যাঘাত করার চেষ্টা করে।’

বাংলাদেশ পেসারের কথায়, ‘আমি ক্রিস গেইল, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মার মতো বড় বড় ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বল করেছি। কেউ বিরাটের মতো না। তুমি একটা ভালো বল করলে ওরা নিজেদের ডিফেন্ড করার চেষ্টা করে। ওরা কোনও কথা বলে না। কোহলি ঠিক উলটো। ও তোমায় পালটা স্লেজ করবে।’ এছাড়াও কেরিয়ারের ওঠাপড়া নিয়ে বলতে গিয়ে ২০১৬ এশিয়া কাপ ফাইনালের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আমিন। উত্তেজক ম্যাচে কোহলি-ধোনির বিরুদ্ধে বল করার বিষয়টিকে অন্যতম কঠিন হিসেবে বিবেচনা করেছেন তিনি।

দিনকয়েক আগে একইভাবে কোহলির স্লেজিং নিয়ে বলতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশ পেসার রুবেল হোসেন অনুর্ধ্ব-১৯ সময়ের অবতারণা করেন। রুবেলের কথায়, ‘আমরা জানি অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময় কোহলি কেমন খারাপ শব্দ প্রয়োগ করত। জাতীয় দলের হয়ে তুলনায় কম স্লেজিং করে ও। তবে মাঠের তার আগ্রাসন যাই হোক। করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন খাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কসুর করছেন না কোহলি।

করোনায় দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। আর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে সবচেয়ে মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত মুম্বই পুলিশ। যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে। তাই সম্প্রতি মুম্বই পুলিশ ওয়েলফেয়ার ফান্ডে আর্থিক সাহায্য দান করলেন বিরাট ও অনুষ্কা। দু’জনেই ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন বলে শনিবার মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

খবর কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

আইপিএল বাতিল হলে কত টাকা ক্ষতি হবে বিসিসিআই’র?

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

ভিলেন করোনা ক্রিকেটপ্রেমীদের থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কেড়ে নিয়েছে আইপিএল। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রশ্নই উঠছে না। যা পরিস্থিতি তাতে এবছর ভারতে আইপিএল অনুষ্ঠিত হওয়া একপ্রকার অসম্ভব। শেষপর্যন্ত যদি এই কোটি টাকার টুর্নামেন্ট বাতিল করতে হয়, তাহলে কোটি কোটি টাকার লোকসান হবে ভারতীয় বোর্ডের। এমনটাই বলছেন বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমল।

করোনার জেরে সব শিল্পই কমবেশি প্রভাবিত। ব্যতিক্রম নয় ক্রিকেটও। অধিকাংশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাতিল। অধিকাংশ বোর্ডই সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তির নবীকরণ করতে পারেনি। যার জেরে শুধুমাত্র বিসিসিআই এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ছাড়া আর সব বোর্ডের অবস্থা শোচনীয়। এদিকে এখনও পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে আছে আইপিএল। যা কিনা ভারতীয় বোর্ডের রোজগারের মুল উৎস। এহেন মেগা টুর্নামেন্ট বাতিল হলে বোর্ড যে চাপে পড়বে তা মেনে নিচ্ছেন কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমল। তিনি বলছেন, ‘বোর্ড ধরেই নিচ্ছে বিরাট অংকের রোজগার কমবে। যদি আইপিএল না হয়, তাহলে লোকসানের অংকটা ৪ হাজার কোটি ঃটাকা পর্যন্ত হতে পারে।’

শুধু আইপিএল নয়, অন্য ম্যাচগুলি বাতিল হওয়ার ফলেও মোটা লোকসান হচ্ছে বোর্ডের। ধূমল অবশ্য এখনই হিসেব কষে বলতে পারছেন না মোট লোকসানের পরিমাণ কত হবে। তিনি বলছেন,‘আমরা জানি না এবছর আইপিএল আদৌ হওয়া সম্ভব কিনা। আমরা লোকসানের অংকটা তখনই পুরোপুরি বুঝতে পারব যখন জানব ঠিক কটা ম্যাচ বাতিল হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, করোনার আর্থিক ধাক্কা সামলাতে কর্মী ছাঁটাই করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের বেতন কমিয়েছে। তবে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ বলছেন, আমরা শেষপর্যন্ত চেষ্টা করব, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ না করার। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই হিসেব-নিকেশ করে দেখতে হবে লোকসানের অংকটা কত।

খবর সংবাদপ্রতিদিন’র।

খেলাই পারে মানুষের হারানো মনোবল ফিরিয়ে আনতে : পিটারসেন

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

সশরীরের না হলেও অনুরাগীরা মন থেকেই উপস্থিত থাকবেন স্টেডিয়ামে। বিশ্বের মানুষ এক অভূতপূর্ব পরিস্থিত মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের মনোবল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। খেলাধুলাই পারে মানুষের সেই হারানো মনোবল ফিরিয়ে আনতে। জানালেন প্রাক্তন তারকা ইংরেজ ক্রিকেটার কেভিন পিটারসন।

মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর নিজেদের দেশে ফুটবল চালু করার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে স্পেন, জার্মানির মতো দেশগুলি। একইভাবে নিরাপত্তার দিকটি সম্পূর্ণ সুনিশ্চিত করে বাইশ গজেও খেলা ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী পিটারসন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে অনুরাগী, সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়ানোর দায়িত্ব আমাদের। প্রত্যেকেই খুব নেতিবাচক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র খেলাধূলোর মাধ্যমে তাকে মনোবল ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।’ তবে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে না আসা অবধি ফাঁকা গ্যালারিতেই খেলা চালু করার পক্ষে সায় দিয়েছেন তিনি।

ডেইলি মেল’কে পিটারসন জানিয়েছেন, ‘স্টেডিয়ামে অনুরাগী না থাকাটা কোনও ইস্যু হতে পারে না। টেলিভিশন ব্রোডকাস্টিংয়ের মাধ্যমেও সংস্থাগুলো তাদের রেভিনিউয়ের পথ সুনিশ্চিত করতে পারে।’ প্রাক্তন ক্রিকেটারের আরও সংযোজন, ‘বেশ কিছু ক্রিকেটার যারা কেরিয়ারের মূল্যবান সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাদের দিকটাও ভেবে দেখতে হবে। দর্শক স্টেডিয়ামে থাকবে না তো কী হয়েছে। ঘরে বসে ব্রডকাস্টিংয়ের মাধ্যমে তো তারা থাকছেনই।’

সম্প্রতি পিটারসনের কথার সূত্র ধরে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে ক্রিকেট চালুর পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের নায়ক বেন স্টোকসও। তার কথায়, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ক্রিকেট শুরু হলে তাতে ক্রিকেটের সার্বভৌমত্ব কোনওমতেই ক্ষুণœ হবে না।

উল্লেখ্য জার্মানি, স্পেন, তুরস্কের পর এবার দেশে ফুটবল ফেরানোর ব্যাপারে সোমবার উদ্যোগী হয়েছে ব্রিটেনের সরকারও। বেশ কিছু সেক্টরের কাজ শুরুর বিষয়ে সোমবার দুপুরে ৫০ পাতার একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যেখানে প্রিমিয়র লিগ শুরু হয়্যার বিষয়টি সবুজ সংকেত পেয়েছে। মনে করা হচ্ছে জুনের শুরু থেকেই পুনরায় শুরু হবে ইংলিশ প্রিমিয়র লিগ।

হালদায় অরক্ষিত মা মাছ ডিম ছাড়া ব্যাহত হতে পারে

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় চৈত্র-বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত কার্পজাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে।  হালদার পোনার বিশেষ চাহিদা আছে দেশজুড়ে এর স্বাদ ও আকার বড় হওয়ার কারণে।

প্রতিবছর হালদায় বিশেষ করে সত্তারঘাট ব্রিজ থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত নদীর এই অংশে মা-মাছ ডিম ছাড়ে। রুই, কাতলা, কালা বাউস ইত্যাদি মাচ ডিম ছেড়ে থাকে হালদায়। দেশের মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে হালদা নদীকে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহে তার কার্যালয় থেকেই হালদা নদীর বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়ে থাকে। কিন্তু এরপরেও কিছু লোভী ও অসাধু ব্যক্তির দুর্বৃত্তায়ন তাতেও বন্ধ হয়নি।  তারা সংঘবদ্ধভাবে হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে এবং যান্ত্রিক নৌকায় তা পরিবহন করে। যদিও হালদা নদীতে বালু উত্তোলন ও যে কোন যান্ত্রিক নৌ চলাচল নিষিদ্ধ।

মাত্র কয়েকদিন আগে এমন একটি চক্রের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে হালদার দুষ্প্রাপ্য একটি ডলফিনকে। সোমবার  মারা গেছে একটি মা মাছ। কয়েকদিন আগে হালদাবাঁধে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিল ১৪ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ। সত্তারঘাট ব্রিজের কাছে নদীতে ভাসতে দেখে মাছটি উদ্ধার করে মধুনাঘাট হ্যাচারিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।  কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাছটি মারা যায়।  পরে সেটি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়।

এখন ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুম। সংগ্রহকারীরা প্রতিবছর এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে। প্রাকৃতিক এই মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রটি একসময় মনুষ্যসৃষ্ট দূষণের কারণে মা মাছের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠেছিল। সে কারণে নদীতে ডিম ছাড়ার পরিমাণ অস্বাভাবিক ভাবে কমে গিয়েছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজরের কারণে প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করে এবং মা মাছ ও পরিবেশ রক্ষায় কড়াকড়ি আরোপ করে। এতে সুফল পাওয়া যায়। মাছের ডিম ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।  পোনা সংগ্রহও বাড়তে থাকে।

কাজেই এই ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন করা যাবে না। মাছ এবং দুষ্প্রাপ্য ডলফিন রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিতে হবে এবং সে সঙ্গে দোষী ও পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।  এবং তা অতি সহসা। দেরি হলে ডিম ছাড়ার মৌসুম পেরিয়ে যাবে।

দেশের স্বার্থেই খুলতে হবে সরকারি সব অফিস

সুপ্রভাত ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে অফিস-আদালত। একমাসের মাথায় সরকারি বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হলেও এখনও অধিকাংশই বন্ধ। এতে প্রশাসনিক ও অন্য কাজে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।

করোনার মধ্যেও জনসমাগমের স্থান মসজিদ, পোশাক কারখানা, দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সরকারি অফিস খুলে না দেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন সেবা গ্রহীতারা।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চাকার ধীরগতির সঙ্গে প্রশাসনিক কাজেও একটি দীর্ঘ জট তৈরি হতে পারে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতি ও প্রশাসনিক কারণে অফিস-আদালত খুলে দিতে হবে।

এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কিছু কিছু সেক্টর আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করছি। কিছু জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা যাতে মানুষ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করছি। কারণ এটা রোজার মাস।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের কষ্টের কথা উল্লেখ করে রোববার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, সাধারণ ছুটির মধ্যে সরকার সব দিক বিবেচনা করেই এগোচ্ছে। তবে এখন পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে মাঠে কাজ করার প্রস্তুতি নিতে হবে সবাইকেই। কলকারখানায় উৎপাদনেও যেতে হবে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে রোগী বাড়তে থাকায় ১৭ মার্চ হতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করা হয় ২৬ মার্চ। সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনও বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকে।

অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় মানুষের ভোগান্তি দিন দিন চরম পর্যায়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও মৌলিক চাহিদার বাইরে প্রয়োজনীয় সাধারণ কিছু সেবা নিতে পারছেন না মানুষ।

তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে যেকোনো দেশের জন্য সুখকর নয় তা বিবেচনা করে উন্নত দেশগুলোর অনেকগুলোতেই লকডাউন বিরোধী আন্দোলন চলছে। ধীরে ধীরে সেসব দেশ লকডাউন তুলে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রয়াস নিচ্ছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পগুলোর অর্থ ছাড়া সংক্রান্ত ফাইল আটকে আছে। কারণ জরুরি কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ হচ্ছে না। এতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদেরও চাপ তৈরি হয়েছে। এছাড়াও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো আটকে আছে। তবে কেবল কিছু জরুরি কাজ চলছে।

বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করানো যাচ্ছে না। অফিস বন্ধ থাকায় নিয়ে ভুক্তভোগী একজন বলেন, আমার সার্টিফিকেট অ্যাটেস্টেট করাতে পারছি না শিক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।

সাধারণ ছুটি থাকায় সরকারি-বেসরকারি সব নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেকের চাকরির বয়সও শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোনো পরীক্ষা বা নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারছেন না। 

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে খুব সহসাই করোনা যাচ্ছে না। আমাদের সব সেক্টরে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ অবস্থায় করোনার সঙ্গেই চলতে হবে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের চলতে হবে। আর লকডাউন এভাবে দিলে দেশেরই ক্ষতি হবে।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যেও মাঠ প্রশাসন কাজ করছে। বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে। সরকার যখন মনে করবে তখন খুলে দেবে। 

সাধারণ ছুটি আগামী ১৬ মে শেষে আবারও ছুটি বাড়ানো হবে কিনা- সে ব্যাপারে এ সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে ছুটি না বাড়িয়ে পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে কাজে নেমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আরও কিছু দিন হয়তো যেতে হবে। তবে মানুষ বাসা থেকে বের হয়ে কাজ করতে চায়, ভালো খাবার খেতে চায়। আমাদের সবদিক বিবেচনা করে এগোতে হবে। আমরা সেভাবেই কাজ করিছ। 

তিনি বলেন, ঘরে থাকাটা বাংলাদেশের জন্য না, সব দেশের মানুষের জন্যই চ্যালেঞ্জ। মানুষের যে পুঁজি সেটা শেষ। সেক্ষেত্রে মানুষ তো বাইরে বের হয়ে কাজ করতে চাইবে। এজন্য উপায় একটা বের করতে হবে। উপায় হচ্ছে, সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা। যারা ইয়াং তাদের সমস্যা না। যাদের জটিল রোগ এবং বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য সমস্যা। বাকিদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

একদিনেই ১০৩৪ রোগী

সুপ্রভাত ডেস্ক

দেশে এক দিনে রেকর্ড ১ হাজার ৩৪ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৬৯১ জন।

গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১১ জন । এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩৯ জনে। খবর বিডিনিউজের।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে গত ৮ মার্চ; তার দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু। গত দুই মাসে আর কখনও এক দিনে এত রোগী বাংলাদেশে শনাক্ত হয়নি।

সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৫২ জন, এ নিয়ে মোট ২ হাজার ৯০২ জন সুস্থ হলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা গতকাল সোমবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, ছয়জন নারী। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, একজনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরেরর মধ্যে, দুইজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, দুইজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

নাসিমা সুলতানা বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বুলেটিনে জানানো হয়, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ১৮৩ জনকে, বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন মোট ২ হাজার ২৩৬জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭টি ল্যাবে ৭ হাজার ২০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় নতুন যুক্ত হয়েছে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের ল্যাব।

কক্সবাজারে নতুন করে ১৩ করোনা রোগী শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে  সোমবার ১৮৭ জনের করোনা ভাইরাস স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া গেছে। বাকী ১৭৪ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ পাওয়া যায়। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার টেস্ট হওয়া রির্পোটের পজেটিভ পাওয়া ১৩ জনের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২ জন, চকরিয়া উপজেলা ৫ জন, উখিয়া উপজেলা ১ জন, পেকুয়া উপজেলা ২ জন, কুতুবদিয়া উপজেলা ১ জন এবং ২ জন বান্দরবান জেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় সোমবার ১১  মে পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ১০২ জন।

এরমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় ৩০ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২৪ জন, পেকুয়া উপজেলায় ১৬ জন, মহেশখালী উপজেলায় ১২ জন, উখিয়া উপজেলায় ৯ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৬ জন, রামু উপজেলায় ৪ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ১ জন। কুতুবদিয়া উপজেলায়  সোমবার ১১ প্রথম ১ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হলো।

গত ২৪ মার্চ সনাক্ত হওয়া কক্সবাজার জেলার প্রথম করোনা রোগী চকরিয়ার খুটাখালীর মুসলিমা খাতুনের শরীরের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছিলো ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে। তিনি সুস্থ হয়ে গত ৮ এপ্রিল বাড়িতে ফিরেছেন।

রামু উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ার খোপ গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এর স্ত্রী ছেনু আরা বেগম ৩০ এপ্রিল রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই মহিলা হচ্ছে, কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুবরণ করা রোগী। ইতোমধ্যে মোট ২২ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।  

মিরসরাইয়ে বাড়ছে করোনা রোগী

রাজু কুমার দে, মিরসরাই

মিরসরাইয়ে এক দুই তিন করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। রোববার উপজেলায় দুই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নিজ  বোনের সংর্স্পশে এসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী অন্যজন পুরুষ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে মিরসরাইয়ে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ছয়ে গিয়ে  ্েঠকেছে।

এদিকে সোমবার প্রচ- গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে উপজেলাবাসী। সকালে বিভিন্ন বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও দুপুরে পরে লোক সমাগম কমতে তাকে। বারইয়ারহাট বাজারে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখতে করা হয় মাইকিং।

জানা গেছে, মিরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম অলিনগর গ্রামে গত ৭ মে একজন স্কুল ছাত্রীর করোনা শনাক্ত হয়। ৮ মে ওই ছাত্রীর সংর্স্পশে আসা ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রবিবার রাতে ওই ছাত্রীর ছোট বোনের করোনা পজেটিভ এসেছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। অন্যদিকে একই দিন উপজেলার হাইদকান্তি ইউনিয়নের এক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে। তবে তিনি সরকারি চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থাকায় ওই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নমুনা দিয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানূর রহমান।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানূর রহমান জানান, হাইদকান্তি ইউনিয়নে যে ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি রাঙ্গুনিয়ায় নমুনা দিয়েছেন। বর্তমানের তার বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।

এ মুহূর্তের সংবাদ

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত

ক্রীড়াঙ্গনের তিন অ্যাসোসিয়েশন ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণা

সচিবালয়ে বুধবার প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে মিছিলের ডাক

যাত্রা শুরু করলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ জামায়াতের

সর্বশেষ

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত

ক্রীড়াঙ্গনের তিন অ্যাসোসিয়েশন ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণা

সচিবালয়ে বুধবার প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে মিছিলের ডাক

অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

যাত্রা শুরু করলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২