Blog Page 2719

ফটিকছড়িতে কাঁঠালের বাম্পার ফলন, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা 

মো. আবু মনসুর, ফটিকছড়ি :

ফটিকছড়িতে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার ফলন বেশি হওয়ায় খুশি কাঁঠাল চাষিরা। বৈশাখের শুরু থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে মৌসুমী ফল কাঁঠাল।
জানা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের টিলাভূমির  ১ হাজার  ৩শ হেক্টর জায়গায় স্থানীয় কৃষকরা কাঁঠাল চাষ করছে।
উপজেলার হেয়াকোঁ বাজারেই এসময় প্রতিদিন লক্ষ টাকার কাঁঠাল বেচাকেনা হতো। ট্রাকে করে কাঁঠাল নিয়ে যাওয়া হতো দেশের বিভিন্ন পাইকার বাজারগুলোতে। হেয়াকোঁ বাজার ঘিরে প্রত্যেক বছর জমে উঠে কাঁঠালের রমরমা বাণিজ্য।

এলাকার বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত অনেকেই এ মৌসুমে কাঁঠাল ব্যবসা করে কিছু বাড়তি টাকা আয় করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতো ।
তবে, পুরো দেশ লকডাউনে থাকায়  যানবাহন বন্ধ, হাটবাজার সীমিত  হওয়ায় এবার লাভের চেয়ে ক্ষতির ভার কাঁধে নিতে হবে চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় উপজেলার বাগানবাজার, দাঁতমারার, ভূজুপুর, সুয়াবিল, শান্তির হাট, নারায়ণ হাট, কাজির হাট, কাঞ্চন নগর, খিরাম, হারুয়ালছড়িতে এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে।
হেয়াঁকো বাজারে বাজারের দিন পার্শ্ববর্তী উপজেলা রামগড় ও মানিকছড়িসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা কাঁঠাল এনে বিক্রি করছে।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এই কাঁঠাল এলাকার চাহিদা পুরণ করে দেশের বিভিন্নস্থানে যায়। এখানকার কাঁঠাল সুস্বাদু হওয়ায় রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
হেয়াকোঁ বাংলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো.নাসির  ও বেলাল হোসেন সর্দার বলেন বাগানে কাঁঠাল আকার ভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২‘শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এবার প্রায় ১ লক্ষ টাকার কাঁঠাল বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।
স্থানীয় কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা বলেন, হেয়াকোঁ বাজার থেকে কাঁঠাল কিনে তারা পার্শ্ববর্তী ফেনী, নোয়াখালী,কুমিল্লাসহ বিভিন্নসস্থানে বিক্রি করে প্রতি মৌসুমে প্রায় দুই থেকে চার লক্ষ টাকা আয় করেন তারা।
হেয়াকোঁ বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদিন বলেন মৌসুমী ফল কাঁঠালের সময়কে ঘিরে হেয়াঁকো বাজারে প্রতিদিন হাট বসে। যার ফলে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা ভাল ব্যবসা করতে পারে। কিন্তু লকডাউন হওয়ায় আগের মতো ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছে না।
ফটিকছড়ি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেব নাথ বলেন, এবার উপজেলার প্রায় ১ হাজার ৩শ হেক্টর জায়গায় কাঁঠাল হয়েছে।এখানকার কাঁঠাল সুস্বাদু হওয়ায় দেশের সর্বত্র এর কদর বেশি।

সাতকানিয়ায় দীর্ঘ হচ্ছে করোনা আক্রান্তের তালিকা

নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া :

সাতকানিয়ায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর তালিকা। নমুনা পরীক্ষা করলেই বাদ পড়ছেন না কেউ।

এমনকি কোন ধরনের লড়্গণবিহীন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায়ও আসছে করোনা পজেটিভ। কমিউনিটি ট্রান্সমশিন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে এখন সাতকানিয়া আর করোনার ‘হটস্পট’ বললে হয়ত ভুল হবে। সাতকানিয়া বর্তমানে কোভিড-১৯ এর ‘সুপার হটস্পট’ এ এসে দাঁড়িয়েছে।

গত সোমবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি’তে করোনার নমুনা পরীক্ষায় সাতকানিয়ার ৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে  ১জন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী ও অপর ২ জন পূর্বের আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্মীর ছেলে। আক্রান্তরা বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

জানা যায়, এ নিয়ে সাতকানিয়া ৩০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম (৭৫) নামে বৃদ্ধ ব্যবসায়ী মারা যান।  নতুন আক্রান্ত ৩ জনের কাছ থেকে বিগত ৭ মে নমুনা সংগ্রহ করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের একটি চিকিৎসক  টিম।

১১ মে  (সোমবার) রাতে  ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি’তে নমুনার পরীক্ষায় ৩ জনের পজেটিভ আসে। এর মধ্যে রয়েছে ৩০ বছর বয়সী সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। অপরদিকে আক্রান্ত ২৫ ও ২৩ বছর বয়সের দুই যুবক হলেন, আপন সহোদর। তারা পূর্বে আক্রান্ত অপর এক স্বাস্থ্যকর্মীর ছেলে। সাতকানিয়া পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী রহমত আলী বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

এ ব্যাপারে সাতকানিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন দুলাল বলেন, গত  সোমবার যে দুই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল এদের বাবা এর আগে করোনায় আক্রান্ত হলেও নিয়ম মেনে তারা চলেনি। ট্রান্সমিশনের ফলে ২ ছেলেও আক্রান্ত হয়েছে।

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মজিদ ওসমানী বলেন, করোনায় আক্রান্ত ৩ জনই হোম আইসোলেশনে রয়েছে। গত সোমবার রাতে বিআইটিআইডি’তে নমুনা পরীক্ষায় তাদের পজেটিভ আসে। এ নিয়ে সাতকানিযায় ৩০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী মারা যান।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, আক্রান্ত ২ যুবকের ঘর আগে থেকেই লকডাউন করে দেয়া হয়েছিল। এর আগে তাদের বাবাও আক্রান্ত হন।

 

 

বান্দরবান হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়েছে যুবক

সংবাদদাতা, বান্দরবান

বান্দরবান সদর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে গেছে এক যুবক। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পলাতক ওই যুবকের নাম আবসার(৩১)। এঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে একজনকে সাজা দিয়ে হাজতে প্রেরণ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

জানা গেছে সোমবার বিকালে  চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকা থেকে আগত আবসার (৩১) নামে এক যুবককে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

এসময় তার অভিভাবক হিসেবে  বান্দরবানের এক স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুর রহমান মাহিনের নাম ও মোবাইল নাম্বার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালের স্টাফরা খবর নিতে গিয়ে দেখে কোয়ারেন্টিনের ওই যুবক রুমে নেই। এসময় গার্জিয়ান মাহিনকে ফোন দেয় হাসপাতাল কর্তপক্ষকে জানায়, সে কিছু জানে না বরং সে ওই যুবকের জন্য কাপড় চোপড় নিয়ে হাসপাতালে আসছে। পরে সেও এসে দেখে ওই যুবক হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে খবর দিলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। এতে তদন্তে ওই যুবককে পালিয়ে যেতে মাহিনের সংশিস্নষ্টতা খুঁজে পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কোয়ারেন্টিন থেকে ওই যুবককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার অপরাধে মাহিনকে ৩ মাসের জেল ও নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করে  কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

বান্দরবান হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন বিভাগের প্রধান ডা.প্রত্যুষ পল বলেন, হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন থেকে এক যুবক পালিয়ে গেছে। বিকালে তাকে আনা হয় রাতেই সে পালিয়ে যায়।

বাঁশখালীতে আহত ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে হত্যা

আধিপত্য বিস্তার ও জায়গা জমির বিরোধ,পুলিশ পরিদর্শকের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ

সংবাদদাতা, বাঁশখালী

আধিপত্য বিস্তার ও জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আহত ব্যক্তির অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে পুনরায় ছুরিকাঘাত করে জহিরুল ইসলাম (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে রবিউল ইসলাম হিরন (২২) ও জামাল উদ্দিন (৫৫) নামের আরও দুজন।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের দড়্গিণ সাধনপুর এলাকার প্রধান সড়কের ওপর। নিহত জহিরুল ইসলাম এলাকার মৃত আলী মিয়ার পুত্র। তিনি পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে জায়গা জমির বিরোধের ঘটনায় সুলতান আহমদের পুত্র মাহমুদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষর হামলায় ছুরিকাহত হন। তিনি ওই ঘটনায় বিচার চেয়ে রামদাশ মুন্সির হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মামুন হাসানের কাছে এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ পরিদর্শক মামুন হাসান এজাহারটি নথিভুক্ত না করে মাহমুদুল হাসানকে ঘুরাতে থাকেন। এই সুযোগে ওই দায়ের না হওয়া এজাহারের আসামি নেজাম উদ্দিন, মনির আহমদ, মো. জহির, সিরাজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন মিলে গত সোমবার (১১ মে) রাতে মাহমুদুল ইসলামকে পুনরায় হামলা করে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেয়। মাহমুদুল ইসলামের ঘরবাড়ি কেন ভাঙ্গা হয়েছে?

ওই ঘটনায় প্রতিবাদ করে তার মামা জহিরুল ইসলাম। কেন প্রতিবাদ করেছে এই নিয়ে প্রভাব বিসত্মার করতে স্থানীয় নেজাম উদ্দিন, মনির আহমদ, মো. জহির, সিরাজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ওই ঘটনার রেশ ধরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় অতর্কিত ছুরিকাঘাত করে জহিরুল ইসলামকে। আহত জহিরুলকে প্রতিবেশিরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়। ওইখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অ্যাম্বুলেন্স করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় দড়্গিণ সাধনপুরে প্রধান সড়কের ওপর পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা আবারো সশস্ত্র হামলা চালায়।

সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাত করে জহিরুল ইসলামের মৃত্যু নিশ্চিত করে। ওই ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন রবিউল ইসলাম হিরন(২২) ও জামাল উদ্দিন(৫৫) নামের আরও দুইজন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, রামদাশ মুন্সির হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মামুন হাসানের দায়িত্ব অবহেলার কারণে এই হত্যাকা-টি ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে বহু মানুষের অভিযোগ থাকলে তাকে দীর্ঘদিন ধরে বদলি করা হচ্ছে না বলে অসংখ্য অভিযোগ করেছেন।

রামদাশ মুন্সির হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মামুন হাসান বলেন, ‘হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। পূর্বের বিরাধের সাথে বর্তমানের হত্যাকা- সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আমার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ সঠিক নয়।’

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। খুনিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দোষী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’

 

কক্সবাজারে ১৭৬ টেস্টে ১৪ জন শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে করোনা ভাইরাস পরীড়্গায়  আরও ১৪ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জন চকরিয়া, ১ জন টেকনাফ, ৪ জন পেকুয়া, ১ জন সাতকানিয়া এবং ৪ জন লোহাগাড়ার। মঙ্গলবার ১৭৬ স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ হয়।

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ) ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  গতকাল পর্ কক্সবাজার জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১১ জন।

চকরিয়া উপজেলায় ৩৪ জন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২৪ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২০ জন, মহেশখালী উপজেলায় ১২ জন, উখিয়া উপজেলায় ৯ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৭ জন, রামু উপজেলায় ৪ জন। কুতুবদিয়া উপজেলায় এখনো কোন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়নি। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ জন।

চকরিয়ায় ধর্ষণের আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া

উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সাজ্জাদ হোসেন (৩৮)। পুলিশের দাবি, নিহত সাজ্জাদ চম্পা খাতুনকে (১৯) হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি।

তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও নারী নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চুরি, ইয়াবা কারবারসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহত সাজ্জাদ পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখের কিলঘোনার এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের চকরিয়ার কোনাখালী মরংঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক  একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, সোমবার দুপুরে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখের কিলঘোনার এলাকা থেকে স্থানীয়রা চম্পা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।  সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।

সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ তাকে নিয়ে সেই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে সাজ্জাদের সহযোগী পুলিশকে লড়্গ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে উভয়পক্ষ গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে পিছু হটে সাজ্জাদের অস্ত্রধারী সহযোগীরা।

পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ সাজ্জাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি দুটি এলজি, বেশ কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি ও ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।এ সময় অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবুল ফারুক, দুই কনস্টেবল সুবল ও সুমনসহ তিন পুলিশ সদস্য। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, নিহত সাজ্জাদের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা, অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।

তরুণী চম্পা খাতুন গত ৬ মে বেবি টেক্সিতে চকরিয়ার দিকে যাওয়ার সময় কোনাখালীর মরংঘোনার একটি ব্রিজের কাছে তাকে দুই অটোচালক ধর্ষণ করে। এরপর চম্পাকে তারা পরিকল্পিতভাবে একটি অটোরিকশা থেকে ফেলে দিয়ে অপর অটোরিকশা দিয়ে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চম্পার মৃত্যু হয়।

লকডাউন শিথিল করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ ডব্লিউএইচও-এর

সুপ্রভাত ডেস্ক :

কোনও কোনও দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে আসার  বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ওইসব দেশে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। তবে ডব্লিউএইচও বলছে, পুনরায় সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন শিথিলের আগে থেকেই চরম সতর্ক অবস্থান নেওয়ার কোনও বিকল্প নেই।

 কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার জেনেভায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার প্রেক্ষাপটে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয় মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালি। সোমবার থেকে লকডাউন শিথিলের পর ইউরোপের ওই দেশগুলোতে দীর্ঘদিন পর ছন্দ ফিরেছে। কয়েকদিন আগেই লকডাউন শিথিল করা হয় জার্মানিতে। কিন্তু এরপরই দেশটিতে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে। এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়াতেও লকডাউন শিথিলের পর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। তবে দেশটি শুরু থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রেখে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমারজেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান ডা. মাইক রায়ান বলেন, ‘অনেক দেশ লকডাউন তুলে নেওয়ায় আমরা কিছু আশা দেখতে পাচ্ছি। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে চরম সতর্কতাও মেনে চলতে হবে’।

জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে গুচ্ছ (ক্লাস্টার) সংক্রমণ শুরু হলেও দেশ দু’টি তা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন ডা. রায়ান। তিনি বলেন, ‘যেসব দেশ চোখ, কান খোলা রেখে মহামারির মোকাবিলা করছে তাদের নাম আমাদের নিতেই হবে’। তবে কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি এও বলেন যে, ‘বিপরীতে কিছু দেশ চোখ বন্ধ করে প্রলয় সামলানোর চেষ্টা করছে’।

একই সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান ডা. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেন, লকডাউনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া জটিল ও কঠিন প্রক্রিয়া। তবে মানুষের জীবন ও জীবিকার তাগিদে ‘ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নিতে হবে’ বলে মনে করেন তিনি।

জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো চীনের উহানেও ফের গুচ্ছ সংক্রমণ দেখা গেছে। তবে আধানম মনে করেন, পুনরায় সংক্রমণ শুরু হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার পুরো প্রস্তুতি এই তিনটি দেশের আছে।

 

 

আগ্রাবাদ ডেবা

১৯৪৭ সালের পূর্বে আগ্রাবাদ এলাকা মূলত একটি গ্রাম ছিল। ঔপনিবেশিক শাসনকাল শেষ হওয়ার পর ১৯৫০ সালের দিকে এলাকার উন্নয়ন শুরু হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা হচ্ছে আগ্রাবাদ। দেশি-বিদেশি ব্যাংক-বীমা কোম্পানিসহ সরকারি, বেসরকারি, বহুজাতিক ও ব্যক্তি মালিকানার অফিসসমূহ এখানে অবস্থিত। বড় বড় অট্টালিকার ভিড়ে অনেকটা আড়াল হয়ে থাকা বিশাল এক জলাশয় রয়েছে এই বাণিজ্যিক এলাকার ভিতর। যা আগ্রাবাদ ডেবা নামে পরিচিত।

১৯০৮ সালে গোসাইলডাঙ্গা মৌজার জমি রেলওয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়। জানা যায়, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে বন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের সময় প্রয়োজন হয় লাখ লাখ টন মাটি। তৎকালীন আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে এই মাটি সংগ্রহের জন্য এখানে খনন করে। তাতে বিশাল এক জলাশয় তৈরি হয়। এই জলাশয় থেকে পানি সরবরাহ করা হতো জাহাজে, রেল ইঞ্জিনে এবং আবাসিক এলাকায়।

পাড়সহ জলাশয়টির মোট আয়তন ২৭.৪ একর। আগ্রাবাদ ডেবার মালিকানা মূলত বাংলাদেশ রেলওয়ের। প্রায় ৩ একর পরিমাণ জায়গা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নামে বিএস খতিয়ানভুক্ত করার কারণে ভূমির মালিকানা নিয়ে রেলওয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত বছরের শুরুতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক সিদ্ধান্তে বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানা যায়।

এই বিশাল জলাশয়টি অনেকটা অনাদরে অযতনে দখল-দূষণে হুমকির মুখে। ফিবছর রেলওয়ে মৎস্য চাষের নামে নিয়মিত ইজারা দিয়ে আসছে। অথচ এই বিশাল ওয়াটার বডির প্রকৃতগত সৌন্দর্য ঠিক রেখে এবং পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে একটি উন্মুক্ত ও নির্মল বেড়ানোর জায়গা হিসেবে গড়ে তোলা যেত। যার পাড় জুড়ে থাকবে সবুজ উদ্যান আর দীর্ঘ হাঁটা পথ।

এই জলাশয় নিয়ে বহুকাল আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ খানিকটা বাণিজ্যিক ধাচের একটি উদ্যোগ নেয়ার কথা শোনা যায়। তখন ওয়াটার বেইজড এন্টারটেইনমেন্ট প্রকল্পের চিন্তাভাবনা করেছিলেন সিডিএর তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ আখতার উদ্দিন। সম্প্রতি সিটি করপোরেশনেরও একটি উদ্যোগের কথা জানা যায়। যার সাথে যুক্ত আছেন প্রবাসী স্থপতি আদনান মোর্শেদ। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের ভয়ের দিক হচ্ছে বাণিজ্যিক প্রবণতা, দোকানদারির সীমাবদ্ধতা থেকে তারা এখনো বের হতে পারেনি।

সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য নতুন মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যত মাস্টারপ্ল্যানে চট্টগ্রামের ওয়াটার বডি সংরক্ষণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব নিয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে আগ্রাবাদ ডেবা ও আশকারদীঘি নিয়ে তাদের বিশেষ পরিকল্পনাও আছে বলে সিডিএ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আমাদের দাবি একটাই পাবলিক প্লেস হতে হবে অবাণিজ্যিক, সবার জন্য উন্মুক্ত।

আগ্রাবাদ ডেবার অ্যারিয়াল ভিউ ক্যামেরাবন্দি করেছেন শোয়েব ফারুকী
লেখা : রুশো মাহমুদ

মালদ্বীপ থেকে আরও বাংলাদেশি ফিরছেন আগামী ১৫ মে

সুপ্রভাত ডেস্ক :

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে আগামী ১৫ মে মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরবেন আরও বাংলাদেশি।

গত ১০ মে মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনিবার্য কারণবশত যদি তারিখ পরিবর্তন হয়, তাহলে হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

মালদ্বীপে অবস্থানরত অনিয়মিত/অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি যাদের কাছে মালদ্বীপ সরকারের রেগুলারাইজেশন কার্ড আছে, শুধুমাত্র তাদের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে হাইকমিশন গত ৩ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রবাসীদের মেডিকেল সার্টিফিকেট দেবে মালদ্বীপ সরকার। মেডিকেল পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক প্রবাসী একটি করে ২০ কেজি ওজনের লাগেজ ও হাতে ৫ কেজি ওজনের ব্যাগ নিতে পারবেন।

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমানের ফিরতি ফ্লাইটে ৭০ বাংলাদেশিকে মালদ্বীপ থেকে দেশে ফেরত আনা হয়।

বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার অপ্রতুল

সুপ্রভাত ডেস্ক :

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল সোমবার ঘোষণা করে ২৪ ঘণ্টায় দেশে এক হাজার ৩৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একদিনে এটাই রেকর্ড পরিমাণ করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। এ নিয়ে দেশে মোট রোগীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার পার করেছে। নতুন ১১ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৩৯ জনে।

গতকালের স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায় করোনা পরীক্ষার সুবিধা ধীরে ধীরে আরও বাড়ছে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোষিত তথ্যে জানা যায় দেশে নতুন একটি ল্যাবসহ মোট ৩৭টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সাত হাজার ২০৮টি। এ নিয়ে ২৮ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এক লাখ ২৯ হাজার ৮৬৫টি।

পরীক্ষার সংখ্যা লাখের ঘরে পৌঁছলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে দেশের জনসংখ্যা এবং অন্যান্য করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশের তুলনায় আমাদের পরীক্ষার সংখ্যা এখনও অপ্রতুল।

তারা বারবার বলছেন পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরীক্ষার মাধ্যমেই করোনা রোগী শনাক্ত করা এবং শনাক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও আইসোলেশনের মাধ্যমে করোনার বিস্তার রোধ সম্ভব।

আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা ডট ওআরজি-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে গত শনিবার পর্যন্ত প্রতি এক হাজারে পরীক্ষা করা হয়েছে শূন্য দশমিক ৭১ জন। এই হার ভারত ও পাকিস্তানে আরও বেশি। ভারতে এই হার প্রতি হাজারে এক দশমিক ১৭ জন এবং পাকিস্তানে এক দশমিক ২৮ জন। স্পেনে এই হার হাজারে ৩৪ জন, ইতালিতে ৪১ জন, ফ্রান্সে ১২ দশমিক সাত জন, তুরস্কে ১৫ দশমিক আট জন এবং যুক্তরাজ্যে ১৮ দশমিক ৭১ জন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০০০ জনে ২৬ জনেরও বেশি মানুষের পরীক্ষা করা হচ্ছে। যা কানাডায় ২৮ দশমিক তিন।

ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে, আইসল্যান্ড প্রতি হাজারে ১৫৬ জনের পরীক্ষা করে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই হিসেবে, অন্যান্য দেশ প্রায় সাড়ে তিন লাখ জনসংখ্যার এই নর্ডিক দেশটির তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

প্রতিদিন বাংলাদেশে যে পরিমাণে পরীক্ষা হচ্ছে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রোগটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তা এই সংখ্যা থেকে অনুমান করা কঠিন ব্যাপার।

মেডিসিন ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রিদওয়ানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এটা না করা হলে আমরা সামনের দিনগুলোর জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাইরাসটি সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ায় যত বেশি পরীক্ষা করা হবে, তত বেশি (করোনাভাইরাস) শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

একই ধরণের মত পোষণ করেন কোভিড-১৯ জাতীয় প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির (এনটিএসি) সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। আমাদের অবিলম্বে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার পরীক্ষা করা প্রয়োজন। পরীক্ষা বাড়লে শনাক্ত সংখ্যাও বাড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত রোববার পরীক্ষা করা নমুনার প্রায় ১৫ দশমিক চার শতাংশ করোনা পজিটিভ এসেছে। আজ (গতকাল সোমবার) এই হার ১৪ দশমিক তিন। এর অর্থ সংক্রমণের হার কমেনি।’

উভয় বিশেষজ্ঞই উল্লেখ করেছেন যে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে করোনা শনাক্তর সংখ্যাও।

তারা বলেছেন, মারাত্মক এই ভাইরাসের কারণে অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন যা জানা যাচ্ছে না।

তারা আরও দাবি করেন যে চলমান শাটডাউন দেশে সংক্রমণের হার কমাতে সহায়তা করলেও রোগী কার মাধ্যমে সংক্রমিত হচ্ছেন তা খুঁজে বের করতে না পারার কারণে যথাযথ সুবিধা পাওয়া যায়নি।

তারা হুঁশিয়ার করে জানান, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে দেশকে এর জন্য অনেক বেশি মূল্য দিতে হবে।

 

এ মুহূর্তের সংবাদ

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত

ক্রীড়াঙ্গনের তিন অ্যাসোসিয়েশন ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণা

সচিবালয়ে বুধবার প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে মিছিলের ডাক

অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

যাত্রা শুরু করলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২

সর্বশেষ

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত

ক্রীড়াঙ্গনের তিন অ্যাসোসিয়েশন ‘বিলুপ্ত’ ঘোষণা

সচিবালয়ে বুধবার প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে মিছিলের ডাক

অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত