বিজ্ঞাপন জটিলতায় বন্ধ বিদেশি চ্যানেল

ডেস্ক রিপোর্ট »

সরকারি নির্দেশনা মেনে শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে- এমন বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের কেবল অপারেটররা। ক্লিনফিড মানে হল কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না। তবে বিবিসি, সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেল যেগুলোতে বিজ্ঞাপন নাই সেগুলো চালু আছে।

সব বিদেশি চ্যানেল বাদ দিয়ে শুধু দেশের ৩৪টি টিভি চ্যানেল প্রচার করে গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতারা।

তাদের আশঙ্কা এ অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে দর্শক অন্য মাধ্যমে চলে যাবে। এতে ব্যবসা হারিয়ে এ খাতে কর্মসংস্থানে ধস নামবে। এমন প্রেক্ষাপটে ‘ডিজিটাইজেশনের’ আগে পর্যন্ত এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে ‘ক্লিনফিড’ ব্যবস্থায় যেতে যন্ত্রাংশ সংগ্রহে আরও সময় চেয়েছেন তারা।

বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার সংক্রান্ত ২০০৬ সালের আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শুক্রবার থেকে বাংলাদেশে সব রকম বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন অনেক টিভি দর্শক। তারা বলছেন, আমাদের সামনে বিকল্প ভালো কিছু আনতে হবে। আমরা সেটা দেখবো। এখন কোন কিছু বন্ধ করে দেয়া সমাধান হতে পারে না।

অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন,মানুষ কিন্তু বসে থাকবে না। সুইচ করবে, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাবে। যে কোনো মাধ্যমে গ্রাহক তার চাহিদা পূরণ করে নেবে। কেউ নেটফ্লিক্স দেখবে, কেউ জি-ফাইভ দেখবে। কনটেন্ট তার কাছে পৌঁছাবে।

গণমাধ্যম বিশ্লেষকরা বলছেন বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান বা ক্লিন ফিডের যে কথা বলা হচ্ছে সেটা পেতে হলে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের আইনে রয়েছে বিদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। ভারত, পাকিস্তান, ব্রিটেনসহ বহু দেশে এই আইন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কোন বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করা সরকারের অভিপ্রায় নয় বলে উল্লেখ করে ড. মাহমুদ জানান, বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানোর কারণে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশি চ্যানেলের কাছে যাচ্ছে।

আইন ভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো তাহলে দেশের মিডিয়াই লাভবান হতো।

এখন আইন মেনে বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার করতে হলে পরিবশেক এবং চ্যানেলের কর্তৃপক্ষকে বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই।

কেবল অপারেটর এসোসিয়েশনের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ১০০টিরও বেশি চ্যানেল রয়েছে যার দর্শক সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি।